বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

টাকা ফেরত দিয়েই ব্যবসায় ফিরবে হলমার্ক : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী বছর (২০২০ সালে) আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতের সমান হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ভারতের পত্রিকা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড লিখেছে, ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ভারতের সমান। এখন আমরা সব দিক থেকে সারা বিশ্বর ওপরে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘একটা দেশের অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী তার ওপর নির্ভর করে টাকার মান ওঠানামা করে। সেখানে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। কারণ, আমরা কোথায় আছি লোকজন খুঁজে বের করতে পারিনি। এজন্য বিনিয়োগ হচ্ছে কম। আমাদের পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগ নেই, এফডিআইও কম, সরকারি কোষাগারেও টাকার পরিমাণ কম। এ ছাড়া আমরা যে রপ্তানি করি তা মধ্যম শ্রেণির। আমরা এজন্য ভারতের থেকে ভালো আছি।’ তিনি বলেন, ‘রপ্তানিসহ অর্থনীতির সব এলাকায় আমরা ভালো আছি। বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে।

আমরা ভারত থেকে ভালো আছি। বিদেশি বিনিয়োগ থাকলে, দেশের অর্থনীতি ভালো না থাকলে বিনিয়োগ চলে যায়। আমাদের দেশে সে হারে বিদেশি বিনিয়োগ নেই।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১০ বছরে আমাদের ১ মিনিটের জন্য অর্থনীতি পেছায়নি। মূল্যস্ফীতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের বাজেট অনেক বেশি থাকে। সব টাকা সরকারের হাত থেকে যাচ্ছে। তবে কোনটা অগ্রণী ব্যাংক, কোনটা রূপালী ব্যাংক থেকে যাবে সেটা ভিন্ন বিষয়। সরকারকে সে বিষেয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, আমরা কোন অবস্থানে আছি। আমরা বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সবার ওপরে আছি। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমাদের জিডিপির আকার বেড়ে গেছে। বছরের কোনো সময়ই কমেনি।’

টাকা পরিশোধ করেই ব্যবসায় ফিরবে হলমার্ক : সোনালী ব্যাংকের ঋণ-দুর্নীতিগ্রস্ত হলমার্ক গ্রুপকে আবার ব্যবসায় ফিরতে হলে সব টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের ব্যবসায় ফিরতে হলে বকেয়া টাকা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। তারপর সরকার চিন্তা করবে নতুন করে অর্থায়নের।

ব্যবসা করলে হলমার্ককে টাকা দেওয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হলমার্ক ব্যবসা করবে, তার আগে আমাদের টাকা তাদের শোধ করতে হবে। সেই টাকা দিলে আমরা তাদের ঋণ দেব। তাদের সেই সক্ষমতা আছে। ব্যবসায়ীরা কখনো শেষ হয়ে যায় না। ব্যবসায়ীদের সব সময় একটা বর্ষাকাল আছে, সেটা মাথায় রেখেই কাজ করে।’

সাভারে তাদের ফ্যাক্টরি সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে বলে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ফ্যাক্টরি অচল হলে তার নিচে যে গোল্ড মাইন আছে সেটা কী করবেন? নতুন অ্যারেঞ্জমেন্ট যখন হবে তখন জানতে পারবেন। আজ আর এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে চাচ্ছি না।’

সরকারি সংস্থাগুলোর অলস টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিলে ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট দেখা দেবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো ব্যাংক নেই, অফিসে স্যুটকেসও নেই; টাকা এনে কোথায় রাখব? কোনো ব্যাংক থেকেই টাকা নেওয়া হবে না, ফলে কোনো ব্যাংকের লিকুইডিটি (তারল্য) সংকট হবে না। ডিপোজিট যেগুলো কনটিনিউ আছে, তা ভাঙা হবে না। আমাদের শুধু জানাতে হবে যে, এখানে তাদের ডিপোজিট আছে। এ মুহূর্তে আমরা ডিপোজিট গ্রহণ করব কেন?’ মুস্তফা কামাল বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কোষাগারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব জমার বিষয়টি আমাদের সাংবিধানিক চাহিদা।’

সর্বশেষ খবর