মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
মায়ের পর মেয়েকে ধর্ষণ

পায়ে গুলি করে আসামি ধরল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের ওসমানীনগরে ধর্ষণের আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় গতকাল পুলিশ পায়ে গুলি চালিয়ে ওই আসামিকে কব্জা করেছে। সেই সঙ্গে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকারীকেও গ্রেফতার করেছে। ধর্ষণের আসামির নাম খোকন মিয়া (২৮)। তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তার বাবা জাহাঙ্গীর আলী। ধর্ষণ ও অপহরণে অভিযুক্ত খোকন মিয়া বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধননগর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলীর ছেলে। জাহাঙ্গীর ওসমানীনগরের ওই গ্রামে এক প্রবাসীর বাসায় কেয়ারটেকারের কাজ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের আশ্বাসে দীর্ঘদিন ধরে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার দৌলতপুরের এক নারীকে ধর্ষণ করে আসছিল খোকন মিয়া। একপর্যায়ে তার কুদৃষ্টি পড়ে ওই নারীর কিশোরী মেয়ের দিকে। গত ১৪ আগস্ট ওই কিশোরীকে (১৩) ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে আনে খোকন। তাকে নিয়ে আসে সিলেটের ওসমানীনগর কামালপুরে। যেখানে একটি বাসায় তার বাবা কেয়ারটেকারের কাজ করেন। এ বাসায় ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করতে থাকে খোকন। এদিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে খুলনায় জিডি করেন ওই নারী। গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী গোপনে তার মাকে ফোন করে আটকে রেখে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। এরপর গত রবিবার কিশোরীর মা ওসমানীনগরে এসে খোকনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ গতকাল গভীর রাতে ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুরের কামালপুরে অভিযান চালিয়ে খোকনকে আটক করে। কিন্তু তাকে থানায় নেওয়ার পথে তার বাবা জাহাঙ্গীর আলীর নেতৃত্বে কয়েকজন লোক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা খোকনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ খোকনের ডান পায়ে গুলি করে তাকে ধরে ফেলে। এ সময় পুলিশ জাহাঙ্গীর আলীকেও গ্রেফতার করে। ওসমানীনগর থানার ওসি এস এম আল মামুন বলেন, ধর্ষিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ খোকনকেও একই হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় ভর্তি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর