শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোনো অভিযোগ ছাড়াই ঢাবি গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শুরু হলো দেশের শীর্ষ উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মহাযুদ্ধ। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গতকাল সূচনা হয় এই বাছাই প্রক্রিয়া। ভর্তি জালিয়াতি বা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো অভিযোগ ছাড়াই গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১১.৩০টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরের একটি কেন্দ্রসহ মোট ৫৬টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর গ-ইউনিটে এক হাজার ২৫০টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৮ জন।

পরীক্ষার সময়সীমা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এবারই প্রথম এমসিকিউ পরীক্ষার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষা দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।  

এদিকে, সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী এবং সহকারী প্রক্টরবৃন্দ।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, এবার একটি সংস্কারসহ নতুন নিয়মে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমি মনে করি, এটি বিশ^বিদ্যালয় ও জাতির জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। পরীক্ষায় কোনো অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পরীক্ষার্থীদের পাশে শিক্ষার্থীরা

ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সারা দেশ থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের সহায়তা করতে সারাদিনই সক্রিয় ছিল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলো। ডাকসু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং জেলা ও উপজেলাভিত্তিক সংগঠনগুলো পরীক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

ডাকসুর পক্ষ থেকে সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক সদস্যের বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী টিম ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের সেবা দেয়। ছাত্রলীগের বিশ^বিদ্যালয় শাখা পরীক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’ পরিচালনা করে। এছাড়াও হলভিত্তিক বুথ বসিয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তা, ফ্রি মেডিকেল সার্ভিস, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা ও অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা করে সংগঠনটি।

পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস পরীক্ষার্থীদের মাঝে কলম ও পানি বিতরণ করেন। এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মুন্না, জীবন রায়, সজীব আহসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলীম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান শিমুল, জহিরুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, তুনান শেখ, সাঈদ হাসানসহ অন্য নেতৃবৃন্দকেও শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে দেখা যায়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তা দিতে ‘এডুবট’ নামে এর মেসেঞ্জারভিত্তিক চ্যাটবটের উদ্বোধন করা হয়। ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র জোট ও ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল বাম ছাত্র সংগঠনগুলো আলাদাভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

সর্বশেষ খবর