বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে সফররত ব্রিটিশ করজারভেটিভ পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। গতকাল সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। যুক্তরাজ্যের ‘কনজারভেটিভ ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশ’ এই গ্রুপে নেতৃত্ব দেন কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান পল স্কাউলি। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা, মানবাধিকার পরিস্থিতি, একাদশ সংসদ নির্বাচন, অর্থনৈতিক অবস্থা প্রভৃতি বিষয় আলোচনা হয়। বৈঠকে ‘কনজারভেটিভ ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশ’ এর চেয়ারপারসন অ্যান মেইনসহ কয়েকজন এমপি ও রাজনীতিবিদও ছিলেন প্রতিনিধি দলে। বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বৈঠকে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, কেন্দ্রীয় নেতা জহিরউদ্দিন স্বপন, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, তাবিথ আউয়াল, জেবা খান, এমপি জি এম সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান জাহিদ ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলকে দলের কারাবন্দী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার স্বাস্থ্যের অবনতিশীল অবস্থা জানানো হয়।
বৈঠকের পর স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদু চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থাটা কী আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমরা বাস্তব অবস্থাটা তুলে ধরেছি। আলোচনায় অনেক ইস্যুর মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। তারা অনুধাবন করতে পারছেন যে, বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয় যেমন রাজনীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, তেমনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘দেশে যে নির্বাচন হয়ে গেল তা যে গ্রহণযোগ্য হয়নি দেশে-বিদেশে, এটার সমাধান কী হতে পারে, এটা থেকে কীভাবে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, দেশের অর্থনীতি, দেশের বিচার ব্যবস্থা, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা খালেদা জিয়ার ?মুক্তির বিষয়ে কী বলেছেন জানতে চাইলে খসরু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যে অন্যায়ভাবে জেলে রাখা হয়েছে তা আমরা বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছি। এ ব্যাপারে তো জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিএনপি প্রধানের স্বাস্থ্যগত দিক থেকে তার মুক্তির বিষয়টা, আইনগতভাবে কেন মুক্তি হচ্ছে না এটা এখন সবার কাছে প্রশ্ন। খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়ায় তারা (ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল) উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। তার মুক্তির সঙ্গে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন কোনো কিছুই আলাদা করে দেখার সুযোগ নাই। ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধান চায় বলেও জানান তিনি।
