মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতুই ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াবে

---- ইইউকে অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে এর সুফলস্বরূপ দেশের মোট জিডিপি ১ শতাংশ বেড়ে যাবে। আর সব মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে আমরা ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছি। এ বছর তা ৮ দশমিক ৩ শতাংশ অর্জিত হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের নিজ দফতরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেঞ্জি তেরিংয়ের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এ বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত তার কাছে জানতে চাইলে তাকেও তিনি একই কথা বলেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

‘বাংলাদেশে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে যে অপচয় হয় তার ১ শতাংশ রোধ করতে পারলে তা দিয়ে আড়াই হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা যেত’ বিশ্বব্যাংকের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা তারা কীভাবে অনুমান করেছে আমি ঠিক জানি না। এটা ঠিক হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তবে আমরা কোন জায়গা থেকে শুরু করেছিলাম তা মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। অভিজ্ঞতা থাকলে হয়তো তা  রোধ করা যেত। এটা প্রথম দিকে মালয়েশিয়াতেও হয়েছে, ইন্দোনেশিয়াতেও হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এমনটি হয়েছে। তিনি বলেন, কিন্তু আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কীভাবে কমানো যায়। সীমার বাইরে না যায়। প্রধানমন্ত্রীও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, যাতে এটা সীমার মধ্যে থাকে। এতেই আমরা খুশি। আস্তে আস্তে আমরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করব, তখন এগুলো কমে আসবে। যতদিন যাবে ততই অভিজ্ঞতা বাড়বে।

দুর্নীতি না হলে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেত-প্রধানমন্ত্রীর এ তথ্যের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এবং কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেখেছেন, তাঁর সহযোগী হিসেবে আমিও একইভাবে দেখছি। উনি যা বলেছেন, সত্য বলেছেন। এটা স্বীকার করতেই হবে। যে পরিমাণ বিনিয়োগ আমরা করছি, শতভাগ মানসম্পন্নভাবে করতে পারি না। সেখানে আমাদের ত্রুটি বিচ্যুতি আছে। কিছুটা প্রবৃদ্ধি আমাদের ব্যাহত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। যেখানে আমরা ৫ বছর পরে যেতাম, সেখানে আমরা এখন তিন বছরে যেতে পারব।

এনবিআর ভবনের ঠিকাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, কারও জন্য কাজ আটকে থাকবে না। এ সময় রোহিঙ্গা সমস্যা, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেঞ্জি তেরিং সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর আলোচনা হয় বলে জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বাস করে রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে চলে যাওয়া দরকার। এ ব্যাপারে তারা ভূমিকা রাখবে। সারাবিশ্বকে একসঙ্গে করে আমরা যেন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারি, সেই বিষয়েও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ইইউ।

সর্বশেষ খবর