বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পিয়াজের দর বেঁধে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা

জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাড়তে থাকা পিয়াজের দর নির্ধারিত করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। আমদানি ও উৎপাদন খরচের অত্যধিক বেশি দামে পণ্যটি বিক্রি হওয়ায় এমন কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, আমদানি শুরু হওয়ায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পিয়াজের দাম সর্বোচ্চ ৬০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। পিয়াজ আমদানি ভারত থেকেই বেশি হতো। তিনি বলেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও তার প্রভাব পড়তে যে সময় লাগার কথা, তার আগেই দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ সুযোগ নিয়েছে। মিয়ানমার থেকে যে পিয়াজ আসছে তার দাম ৬০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় পিয়াজের দাম নির্ধারিত করে দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

পিয়াজ আমদানির এলসির সুদ সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ : পিয়াজের ঘাটতি মেটাতে আমদানিতে বিশেষ সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বিদেশ থেকে পিয়াজ আমদানির জন্য খোলা আমদানিপত্র (এলসি) সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল সরবরাহ নিশ্চিত ও দাম নিয়ন্ত্রণে পিয়াজ আমদানির অর্থায়নে সর্বোচ্চ এ সুদহার বেঁধে দিয়ে সব তফসিলি ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে পিয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও মূল্যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পিয়াজের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

 এ প্রেক্ষাপটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত ও মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে পিয়াজ আমদানি অর্থায়নের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। এ ছাড়া পিয়াজ আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সর্বশেষ খবর