বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইমামদের সরকারি চাকরির আওতায় আনা উচিত

----------------- র‌্যাব ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ করতে সব মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সরকারি বেতন কাঠামোর আওতায় আনার প্রস্তাব করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল ‘যুব সমাজের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে উগ্রবাদিকরণ ও সহিংস চরমপন্থা রোধ’ শিরোনামে আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ মতামত তুলে ধরেন। রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের আয়োজনে আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবার সম্পৃক্ততা প্রয়োজন মন্তব্য করে বেনজীর আহমেদ বলেন, ইসলামে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জুমার খুতবায় ইমামরা কিছু বলেন না। আমরা দেখি তারা রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। আপনারা (ইমামরা) রাজনীতি করতে চাইলে করেন, কিন্তু মসজিদকে ব্যবহার করবেন না। অনেক চেষ্টার পরও সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে সাধারণ বিবৃতি দিতে বাংলাদেশের ইসলামী নেতাদের এক জায়গায় আনা যায়নি। র‌্যাব প্রধান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সব ইমামকে সরকারি চাকরির আওতায় আনা উচিত। তাহলে অনেক কিছুই করতে পারব। আমার মনে হয় মসজিদের সংখ্যা ৭ লাখের বেশি হবে না। তাদের বেতন দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে দেশজুড়ে ব্যাপক জঙ্গি তৎপরতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়ন্ত্রণে আসে।

কিন্তু ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠলে আবার এই তৎপরতা দৃশ্যমান হয়। বেশ কয়েকজন চরমপন্থিদের হাতে খুন হন। কিন্তু গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ার পর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসে সরকার। এরপর জনগণের সহায়তায় জঙ্গিবাদী সব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে দাবি করেন র‌্যাব মহাপরিচালক। তবে সন্তুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হলে শুধু বাংলাদেশ থেকে তা উচ্ছেদ করা খুবই কঠিন। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে। কারণ জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থাকে উৎসাহিত করতে ফেসবুক, টুইটার ও ব্লগে লাখ লাখ বিষয়বস্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে নিরুৎসাহিত করার জন্য খুবই কম আছে।

সর্বশেষ খবর