শিরোনাম
সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিশু জাইমার চিকিৎসায় ৩ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই বছর আগে লঞ্চ দুর্ঘটনায় আহত ৮ বছরের শিশু জাইমা নেওয়াজ জিসার চিকিৎসার জন্য তিন লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ঢাকা-বরগুনা-আমতলী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী এমভি ইয়াদ নামের লঞ্চ মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের ১৫ দিনের মধ্যে এ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আহত জাইমার পিতা জামাল গাজী ও মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছে আদালত। রুলে জাইমার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লঞ্চ মালিক, বিআইডব্লিইটিএসহ সংশ্লিষ্টদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। নৌ-পরিবহন সচিব, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান, নৌ অধিদফতরের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, লঞ্চের মালিক মামুনুর রশিদ, মাস্টার আবদুর রউফ, মাস্টার নাসির উদ্দিন গাজীসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনকারীরপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আনিসুল হাসান ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামাল গাজী তার স্ত্রী নাজমুন নাহার, মেয়ে জাইমা নেওয়াজ জিসা (৬) ও ছেলে খাজা গরীবে নেওয়াজকে নিয়ে বরগুনার আমতলী যাওয়ার উদ্দেশে ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ফতুল্লা লঞ্চ ঘাটে যান। এ সময় এমভি ইয়াদ লঞ্চটি ফতুল্লা ঘাটে এসে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এতে শিশু জাইমা ছিটকে পড়ে। তার ডান পা লঞ্চ ও লঞ্চঘাটের মাঝখানে আটকে যায়। এতে শিশু জাইমার পায়ের পাতার সম্মুখভাগ বিছিন্ন হয়ে যায়। শিশু জাইমাকে উদ্ধার করে ঢাকা জেনারেল অ্যান্ড অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ২১ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে যায় জাইমা। এ ঘটনায় শিশু জাইমার পিতা জামাল গাজী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি লঞ্চ মালিক মামুন অর রশিদসহ ৬ জনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলা তুলে নিতে লঞ্চ মালিকের পক্ষ থেকে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে জাইমার মা বাদী হয়ে আমতলীতে আরেকটি মামলা করেন। এ ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর