অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ভেবেছিলাম বিটিআরসির সঙ্গে গ্রামীণফোন-রবির বিরোধ নিষ্পত্তি হবে আলোচনার টেবিলে, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাই এখন বিষয়টি কোর্টের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হবে। গতকাল সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোন ও রবির সঙ্গে টেলিকম মন্ত্রী ও বিটিআরসি চেয়ারম্যানের কয়েক দফা বসা হয়েছিল। কোম্পানি দুটিকে বলা হয়েছিল তোমাদের হিসাবে তো কিছু টাকা পাই, সেখান থেকে কিছু পেমেন্ট করো। কিন্তু তারা পরিশোধ করেনি। ফলে সেই আলোচনা এগোয়নি। এরই মধ্যে বিষয়টি কোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছে। ফলে এটা এখন কোর্টেই নিষ্পত্তি হবে।
সার্বিক বিবেচনায় তাদের কিছুটা সময় দিয়েছিলাম এবং তারা চুক্তিও করেছিল যে আমাদের সঙ্গে তারা কমপ্লায়েন্সে নেবে কিনা, তারা কমপ্লায়েন্সে নিতে পারেনি, তারা জানাল তাদের আবার বোর্ড মিটিং করতে হবে। বিষয়টি এখন কোর্টে আছে, সেজন্য এ বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না। কোর্ট থেকে যেটা হবে সেটা তাদেরও মানতে হবে, আমাদেরও মানতে হবে। প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুই পক্ষের মাঝে মীমাংসা করতে হলে হয় কোর্ট, নয় আর্বিট্রেশন, এটি আর্বিট্রেশনের অংশ।এখানে ১০-২০ টাকার বিষয় নয়। অনেক টাকা। আমাদের কথা হচ্ছে আমাদের ক্লেইম একটা অ্যামাউন্ট, তাদের হিসাবে আরেকটি অ্যামাউন্ট, ডিফারেন্স কিন্তু হিউজ। ছোট ছোট অ্যামাউন্ট হলে নিজেরাই বসে সুরাহা করতে পারতাম। তারাও চায় কোর্টের মাধ্যমে হয়ে গেলে সুরাহা হয়। আমরাও মনে করি কোর্টের মাধ্যমে হয়ে গেলে ভালো যদি হয় সবার জন্য ভালো হবে।
আমি চেষ্টা করেছি, আমার করণীয় আমি করেছি। কোর্টের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যেতে পারবে না, তবে সময় লাগবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন দেশের দুই শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি এবং বিটিআরসি সব ধরনের বিরোধ থেকে সরে আসবে। সরকারের পাওনা টাকা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।
