সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সম্মেলন করতে ফের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণভবনে গেলে তাকে এই নির্দেশ দেন তিনি। দলীয় প্রধানের এই বার্তা গতকাল সকালে নগর নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক। নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে সম্মেলনের তারিখ বেঁধে দেওয়ায় পদপ্রত্যাশী নেতারা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। এর তিন বছর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ৪৫টি থানা এবং ১০০টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সে সময়ের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এরপরই ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় এ কে এম রহমতুল্লাহকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাদেক খানকে। আর দক্ষিণের সভাপতি করা হয় হাজী আবুল হাসনাতকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয় শাহে আলম মুরাদকে।

সূত্রমতে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আগেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে করা যায়নি। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিলেও তারিখ বলেননি।

দুই মহানগর নেতাদের কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিতে বলেছি। তবে কাউন্সিল আর সিটি নির্বাচন একসঙ্গে সম্ভব হবে না। ডিসেম্বরের মধ্যে সিটি নির্বাচন হলে কাউন্সিল পরে হবে। কাউন্সিল কবে হবে সেটি নির্ভর করবে নির্বাচন কমিশনের শিডিউল ঘোষণার ওপর। গত শনিবার দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন করার তাগাদা দেন। এরপর গতকাল দুই মহানগরের সাধারণ সম্পাদককে ডেকে নিয়ে ওবায়দুল কাদের সময় বেঁধে দেন।

সম্মেলন করার নির্দেশ দিলেও তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়নি জানিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা দ্রুতই সম্মেলন করে ফেলব। যেহেতু নেত্রী  (শেখ হাসিনা) নির্দেশ দিয়েছেন তাই বসে থাকার সময় নেই। আমরা প্রস্তুত। 

এদিকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় পদপ্রত্যাশী নেতারা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। তারা মহানগরের কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাসহ কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ শুরু করেছেন। কেউ কেউ গণভবনে গিয়ে দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেছেন। গতকাল রাতে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংগঠনকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সম্মেলনের নির্দেশ দিয়েছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে গতিশীল নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসলামুল হক আসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে দুই মহানগরের সম্মেলন ঘোষণা করায় নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী রাজনীতিতে ঢাকা দুই মহানগর হৃৎপি-। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সম্মেলনের মাধ্যমে শক্তিশালী কমিটি ঢাকাবাসী উপহার পাবে এমনটাই প্রত্যাশা করি। সে নেতৃত্ব সংগঠনকে আরও গতিশীল করবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর