সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আবারও বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয়ে আবারও ভূয়সী প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। একই সঙ্গে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্সি টেম্বন ও ঢাকা সফররত বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে মার্সি টেম্বনসহ বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

এ সময় মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশ নিজেই ব্যতিক্রমী হয়ে উঠবে আগামীতে। কারণ দলিলপত্রে বাংলাদেশের যে অর্জন, সেটার বাস্তবতাও রয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই অনুকরণীয়। আর এ সময় বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক প্যাট্রিজিও প্যাগানো বলেন, বাংলাদেশে এসে আমরা অবাক হয়েছি যে, বিশ্বে দ্রুত উন্নয়ন করা দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে দারিদ্র্যদূরীকরণে বাংলাদেশের অর্জন উল্লেখ করার মতো। দারিদ্র্য দূর করা বিশ্বব্যাংকের প্রধান কাজ। তাই বাংলাদেশের এ অর্জনে আমরা খুশি। তারপরও বাংলাদেশের বড় একটা অংশ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। দেশের সব মানুষই উপকারভোগী হবে এমন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করতে চায় বলেও জানান তিনি। প্যাট্রিজিও প্যাগানো বলেন, উন্নয়নে দেশের সব মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে বেসরকারি খাতেরও এ ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হওয়া দরকার। বেসরকারি খাতও ভালো কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, কবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। বিশ্বব্যাংক রাজনৈতিক কোনো ইস্যু সমাধান করতে পারে না। রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ যেমন আমাদের পার্টনার তেমনি মিয়ানমারও। রাজনৈতিক সমাধান দুই দেশকে বের করতে হবে। তবে রোহিঙ্গা সংকটে কক্সবাজার এলাকায় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করছে।

এ প্রেক্ষাপটে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের সহযোগিতার কথা স্বীকার করি। আমরা বিশ্বাস করি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সমৃদ্ধ, শান্তি, বৈষম্যহীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জনে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদসহ বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর