সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার ১২ বছর পর গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার ১২ বছর পর তিন আসামিকে গ্রেফতার করল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা হলেন- হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সোহেল ফকির, তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন ও লিটন মিয়া। ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, ২৮ অক্টোবর গাজীপুর থেকে আনোয়ার ও লিটনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার কানিজ ফাতেমা। মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ২০০৭ সালের ২৭ জুলাইয়ের। সোহেল পরিচয় গোপন করে ২০০৬ সালে রত্না বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর রত্নার একটি সন্তান হয়।

তার নাম মো. নুরুজ্জামান। কিন্তু সোহেল বিয়ের কথা গোপন করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কল্পনা আক্তার নামে অপর এক নারীকে বিয়ে করেন। কল্পনার আত্মীয়স্বজন আসামি সোহেলের প্রথম বিয়ের কথা জানতে পেরে সোহেলকে দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।

একপর্যায়ে সোহেল তার দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনার মামা লিটন মিয়া এবং খালাতো ভাই আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক-মির্জাপুর রেললাইনের পাশে নিয়ে প্রথম স্ত্রী রত্নাকে (২০) শ্বাসরোধ করে এবং তার ২ মাস ১৭ দিন বয়সের শিশু সন্তান নুরুজ্জামানকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় রত্নার বাবা সোহেলের বিরুদ্ধে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন। কিন্তু আসামির স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী কোনো ঠিকানা না থাকায় ২০০৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রেলওয়ে পুলিশ মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষের নারাজির প্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডিতে আসে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে চলতি বছরের জানুয়ারিতে মামলাটি সিআইডিতে আসে। এরপর মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, খুনিদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারের চেষ্টা করায় সফলতা আসে সিআইডির।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডি জানতে পারে, সোহেল ফকির ময়মনসিংহের ভালুকা থানার বিভিন্ন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে নিজের পরিচয় গোপন করে কামরুল হাসান নাম দিয়ে চাকরি করতেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর