শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জি কে শামীম ও খালেদকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত শেষ দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে। জি কে শামীমকে পঞ্চম দিন ও খালেদকে চতুর্থ দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তবে আদালত দুজনকেই সাত দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল। জানা গেছে, আদালত সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিলেও শামীমকে পাঁচ দিন ও খালেদকে চার দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আপাতত আর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। পরে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।

এর আগে ৩ নভেম্বর জি কে শামীম ও ৪ নভেম্বর খালেদ মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে আনা হয়। ২৭ অক্টোবর দুদকের আবেদনে শামীম ও খালেদকে সাত দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত। এর আগে ২১ অক্টোবর দুদক খালেদ ও শামীমের বিরুদ্ধে মামলা দুটি দায়ের করে। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন। অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৯৭ কোটি আট লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অভিযোগ আনা হয় সেখানে। খালেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের আরেক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। এই মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে তাদের বিপুল সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। ঢাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর অভিযোগে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূ্ইঁয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে জি কে শামীম ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পরিচয় দিয়ে শামীম টেন্ডারজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন।

সর্বশেষ খবর