রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মুকুটের অভিযোগের জবাবে এমপি মানিকের বক্তব্য

‘এবার এমপি মানিককে একহাত নিলেন মুকুট’ শিরোনামে ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট যে অভিযোগ করেছেন তার জবাব দিয়েছেন এমপি মুহিবুর রহমান মানিক। তিনিও জেলা কমিটির সহ-সভাপতি। এমপি মানিক বলেন, যুক্তিসঙ্গত কারণে আমি এই মানহানিকর, মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগের দিন একই পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদে ‘৭১ সালে পাকিস্তানিদের সহযোগী, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টে মিষ্টি বিতরণকারী এবং দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে যারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, তাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কেউ দেখতে চায় না,’ আমি এই মন্তব্যটি করেছিলাম। এতে নুরুল হুদা মুকুট বা তার পরিবারের কারও নাম উল্লেখ ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় নেতৃত্বের যোগ্যতা বিষয়ে দলীয় সভানেত্রী, সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন আমার বক্তব্য তার প্রতিধ্বনি ছাড়া কিছু ছিল না। কিন্তু  আমার এই বক্তব্যকে নুরুল হুদা মুকুট কেন তার গায়ে মাখলেন তা বোধগম্য নয়। তবে তার এই অনাকাক্সিক্ষত বক্তব্যের উত্তরে ‘ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না’ কথাটি যথার্থ বলেই মনে হচ্ছে। নুরুল হুদা মুকুট ভালো করেই জানেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কারণে ছাতক উপজেলার মানুষ ১৯৯০ সালে তরুণ বয়সে আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তারপর ’৯১ সালে ১৫-দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করি। কিন্তু ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কাছে হেরে গেলেও ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা-উত্তরকালে এই আসন থেকে আমিই প্রথম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করি।

তার আগে ’৯৪ সালে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশেষ কাউন্সিল করে প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রী পার্টি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করি। ঐতিহাসিক এই যোগদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  সভানেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের বরণ করে নেন। এই যোগদানকে অনুপ্রবেশ বলা হাস্যকর। জানতে ইচ্ছা করে মুকুট কোন প্রক্রিয়ায় কার হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বারবার নির্বাচিত হয়ে সততার সঙ্গে মহান জাতীয় সংসদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন। বিশ্বাস করি, নুরুল হুদা মুকুট সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীর ভালো ধারণা আছে। কর্মফলই দলে অবস্থান নির্ধারণ করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর