শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

এরদোগান ও শেখ হাসিনার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোগান ৪০ লাখ শরণার্থীকে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু মানবিক কারণে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাই এদের দুজনের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। অর্থমন্ত্রী মঙ্গলবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার মুস্তফা সেন্তোপের সঙ্গে বৈঠককালে এই অভিমত ব্যক্ত করেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ ১৫টি লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে তুরস্কের আঙ্কারায় মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন সভা। তিন দিনের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিপ বিল্ডিং, শিল্প, কর্মসংস্থান, নৌ-পরিবহন, কৃষি, শিক্ষা, নগরায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পর্যটন ও জ্বালানি-বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি-ট্যুরিজম, পাট-টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া এতদিন ধরে চলে আসা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন করে আর কী কী খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায় সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যে দুটি কারণে তুরস্ক সারা বিশ্বে অনেক সমাদৃত তার একটা অসাম্প্রদায়িকতা আর দ্বিতীয়টি হলো জঙ্গিবাদের কারণে বিশ্বের কোথাও কোনো মানুষের যেন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ। তুরস্কের এই নীতির সঙ্গে বাংলাদেশের নীতির অত্যন্ত সামঞ্জস্য রয়েছে। কেননা বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স  ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনে বিসর্জন ও ত্যাগ স্বীকারসহ অনেক ক্ষেত্রে অসাধারণ সামঞ্জস্য রয়েছে।

তুরস্কের স্পিকার বলেন, দূরত্ব অনেক হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের ধর্ম, সংস্কৃতিসহ রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য। তিনি বলেন, আপনার এই সফরে আমি খুবই আনন্দিত। আশা করি আপনার সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।  রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উদারতার এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আরাকানের এই মুসলিমদের ওপর যে অবিচার করা হয়েছে সেটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। তুরস্ক এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া হলেও এখন তার উচ্চমূল্য দিতে হচ্ছে। কক্সবাজারসহ ওই এলাকার পুরো পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এজন্য আমাদের সামাজিক ও জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। আমাদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা ডলার বা টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তাই দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে পাঠাতেই অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন। তুর্কি স্পিকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

সর্বশেষ খবর