রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় ‘রাধারমণ’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সাত দিনব্যাপী নতুন নাট্য উৎসবের দ্বিতীয় দিনে গতকাল শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হয়েছে নাটক ‘রাধারমণ’। সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চায়ন করে যৌথভাবে সুনামগঞ্জের প্রসেনিয়াম ও বন্ধন থিয়েটার। শামীম সাগর নির্দেশিত ‘রাধারমণ’-এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আশরাফুল ইসলাম আদর, ফয়সাল আহমেদ, সৈয়দ আহমেদ, নদী দে মোহনা, মাহবুবা আক্তার রিয়া, শরীফ আহমদ, আবদুল মোতালিব, অভিজিৎ ঘোষ চৌধুরী, সুইটি রানী দাস, দৃষ্টি রানী দাস, সৈয়দ নাঈম আহমেদ প্রমুখ। ৫ ডিসেম্বর শেষ হবে সাত দিনের এ নাট্য উৎসব। জলরং কর্মশালা : অন্তর কথা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে গতকাল শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হয়েছে দুই দিনের জলরং কর্মশালা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৮ জন চিত্রশিল্পী অংশগ্রহণ করেন। জলরঙের বেসিক, থিওরিক্যাল ও প্র্যাকটিক্যাল বিষয়গুলো এ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

রবিউল হুসাইন স্মরণ : স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন কবি রবিউল হুসাইন। আর তাই শ্রদ্ধাভরে সদ্যপ্রয়াত এ কবিকে স্মরণ করেছেন দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষ।

গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে অনুষ্ঠিত হয় এ নাগরিক স্মরণসভা। জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত এ স্মরণসভা সাজানো ছিল স্মৃতিচারণ, গান ও কবিতা দিয়ে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথের গান ‘সম্মুখে শান্তি পারাবার’ গেয়ে শোনান ছায়ানট সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে স্মরণানুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, কবি কামাল চৌধুরী, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার আসরের সহসভাপতি রওশন আরা ফিরোজ, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি জালাল আহমেদ প্রমুখ।

এতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক রচিত শোকপত্র পাঠ করেন কবি তারিক সুজাত। স্মরণসভায় আরও বক্তৃতা করেন ছেলে জিসান হুসাইন রবিন, বোন বিউটি হুসাইন, ভাই তারিক হুসাইন ও কবির ভাগ্নে অর্ণব হাসান।

রবিউল হুসাইনের অপ্রকাশিত রচনাবলি প্রকাশ করার আগ্রহ প্রকাশ করে তার অপ্রকাশিত লেখাগুলো বাংলা একাডেমিকে দেওয়ার জন্য কবির পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে অনুরোধ করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সবশেষে কবি রবিউল হুসাইনের কবিতা পাঠ করেন বরেণ্য কবি ও বাচিকশিল্পীরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর