সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

থানায় আটকে রেখে দেড় কোটি টাকার চেক নেওয়ার মামলা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীকে থানায় আটকে রেখে দেড় কোটি টাকার চেক লিখে নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার অপর আসামি হলেন নগরীর মনোহরপুর উজির দিঘিরপাড়ের মৃত রতন মিয়ার ছেলে মেসার্স এম আলমের স্বত্বাধিকারী মো. মাহাবুব আলম (৫২)।

গতকাল কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মনোহরপুর সদর হাসপাতাল রোডের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে মো. মহিউদ্দিন। আদালতের বিচারক জালাল উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তৃতীয়পক্ষ গ্যারান্টার হিসেবে বাদী মহিউদ্দিনের জমি বন্ধক রেখে চাচাতো ভাই মামলার দ্বিতীয় আসামি মাহাবুব আলম ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় অর্থ ঋণ আদালতে মাহাবুবের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংক। এরপর থেকে আসামি মাহাবুব মহিউদ্দিনের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। কোনো সুযোগ না পেয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিনের সঙ্গে যোগসাজশ করে নতুন ফন্দি আঁটেন মাহাবুব। সে মতে চলতি বছরের ৩ আগস্ট রাতে ৩/৪ জন পুলিশ সদস্য এবং মাহাবুব নগরীর হোটেল সালাউদ্দিনের ক্যাশে বসা অবস্থায় মহিউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে পরিদর্শক মো. সালাহউদ্দিনের কক্ষে আটক রাখে। সেখানে বাড়ি থেকে চেক বই নেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন এবং মাহাবুব বাদী মহিউদ্দিনকে চাপ দেন। চেক না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখান তারা। পরবর্তীতে মহিউদ্দিনের ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে থানায় চেক বই নিয়ে তাতে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার চেক লিখে দিতে হুমকি দেন পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন ও মাহাবুব। হুমকির মুখে মহিউদ্দিন (শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের হিসাব নং-০০১১১০০০০০০৩৫, চেক নং-০০০০০২২ ) ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার চেক লিখে দিতে বাধ্য হন। এরপর পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন চেকটি গ্রহণ করে সাদা কাগজে উপস্থিত কয়েকজনের স্বাক্ষর নিয়ে মহিউদ্দিনকে ছেড়ে দেন।

এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন জানান, চেকের সমস্যা বাদীর চাচাতো ভাই মাহাবুবের সঙ্গে। এতে আমি সম্পৃক্ত নই। আদালত থেকে কোনো কাগজপত্রও পাইনি।

বিষয়টির সত্যতা জানতে মামলার দ্বিতীয় আসামি মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর