বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিদ্যুতের দাম বাড়লে কর্মসূচি দেবে বিএনপি : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির পেছনে ক্ষমতাসীন ব্যবসায়ী জোটকেই দায়ী করেছে বিএনপি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রশ্নে তিনি বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে আমরা গণশুনানিতে আমাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। সেখানে দলের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে অতীতে আমরা কর্মসূচি নিয়েছি। আবার যদি মূল্য বৃদ্ধি করা হয় আমরা অবশ্যই কর্মসূচি দেব। আমরা মনে করি, ক্ষমতাসীন দলীয় ব্যবসায়ীদের দ্বারা তৈরি ব্যবসায়ী জোট ভাঙতে না পারলে, টিসিবিকে শক্তিশালী করতে না পারলে, দলীয় লোকজন দ্বারা পরিবহনের চাঁদাবাজি বন্ধ না করতে পারলে এবং মধ্যস্বত্ব ব্যবস্থা বন্ধ করতে না পারলে দ্রব্যমূল্য হ্রাস করা সম্ভব হবে না। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহদফতর সম্পাদক মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সময়ে ২০০৬ সালে মোটা চালের কেজি ছিল গড় ১৭ টাকা ৫০ পয়সা, এখন ২০১৯ সালে তা ৩৪-৪০ টাকা, সরু চাল ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা, এখন হচ্ছে এটা ৪১ থেকে ৬০ টাকা।

পিয়াজ ৮-২০ টাকা, এখন হয়েছে এটা ২২০-২৪০ টাকা। সয়াবিন তেল ছিল ৫৫ টাকা, এখন হয়েছে ৯৪-১১০ টাকা। আটা ছিল ১৭ টাকা, এখন হচ্ছে ২৮-৩২ টাকা। হাঁসের ডিম আমাদের সময় ছিল হালি ১২ টাকা এখন হচ্ছে ৭০ টাকা, আলু ছিল কেজি ৬ টাকা, এখন ৩০ টাকা, চিনি ছিল ৩৬ টাকা, এখন হচ্ছে ৬০ টাকা। এসব দাম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিগত ১৩ বছরে জিনিসপত্রের মূল্য গড় হিসেবে বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অনেক জিনিসের মূল্য বেড়েছে তিন গুণ। অথচ এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট অনুযায়ী সরকার ১৭টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। এই সরকারের প্রতিশ্রুত ১০ টাকার চাল আমজনতা খেয়েছে ৭০ টাকায়।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একদিকে মুক্তবাজারের দর্শনে বিশ্বাসী, অন্যদিকে নিজস্ব দলীয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগ্রহী। সরকারের দুর্নীতি, টাকা পাচার, লুটপাটের মাধ্যমে পাহাড় সমান সম্পদ অর্জনের ফলোশ্রুতিতে দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি আকাশচুম্বী হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বক্তৃতা-বিবৃতি ও লোক দেখানো ভ ামি দ্বারা আর যাই হোক দ্রব্যমূল্য হ্রাস বা অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কারণ যারা দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে তারা সবই তো আওয়ামী লীগের লোক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর