বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

তারেক-ফখরুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত প্রতিবেদক

হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। পরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসউদ-উর-রহমান রাজধানীর দারুস সালাম থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, মহানগর উত্তর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল সোহেল, জামায়াতে ইসলামীর রুকন ও শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) কামিল মাদ্রাসার সাময়িক বহিষ্কৃত উপাধ্যক্ষ আফজাল হোসেন, মাদ্রাসার অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও আবদুল করিম, হাফেজ মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, আমিনুল হক বাবু ও ফারুক আহমদ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এ বি সিদ্দিকী ৬ ডিসেম্বর শাহ আলী মাজারের কাছে যান। সেখানে বিএনপি নেতা রবিউল আউয়াল সোহেলের হুকুমে বিএনপির চার-পাঁচজন কর্মী নিজেদের আওয়ামী ওলামা লীগের লোক বলে পরিচয় দেন। তারা বলেন, ‘আপনি (এ বি সিদ্দিকী) তো খালেদা জিয়া এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা করেছেন। আমরা মিরপুরের বিএনপি নেতা রবিউল আউয়াল সোহেল ও জামায়াতের নেতাদের সরকারবিরোধী কার্যকলাপের গোপন বৈঠকের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এ ব্যাপারে মামলা করার জন্য আপনার সঙ্গে পরামর্শ করতে চাই।’ তারা এ বি সিদ্দকীকে রাস্তার অপর পাশে তাদের অফিসে নিয়ে যেতে চান। এ বি সিদ্দকী সময় চান। পরে তিনি বুঝতে পারেন, ওটা বিএনপি নেতা রবিউল আউয়ালের ভবন। সেখানে রবিউল আউয়াল জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের নিয়ে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক করেন। ওই ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের অফিস হয় কীভাবে? ফলে তার সন্দেহ হয়, এরা রবিউল আউয়ালের ক্যাডার। ওই ব্যক্তিরা এ বি সিদ্দিকীকে ওই ভবনে নিয়ে যেতে জোর করেন। নিরাপত্তার কারণে সেখানে যাননি এ বি সিদ্দিকী। পরে তারা স্বীকার করেন, তারা বিএনপি-জামায়াতের লোক। তাদের রবিউল আউয়াল পাঠিয়েছেন ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারা বলেন, ‘আপনি যেতে রাজি হচ্ছেন না। আপনাকে তো জোর করে নিয়ে যাওয়া যাবে না। আপনাকে ছেড়ে দিচ্ছি। তবে একটা শর্ত, বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাদের নেতা (তারেক রহমান) নির্দেশ দিয়েছেন, খালেদা জিয়া এবং সব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ২১ আগস্টের মতো শেখ হাসিনার পরিবার এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের আইএস দিয়ে খুন করাব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর