বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভুয়া ওয়ারেন্ট ইস্যুকারীদের খুঁজতে সিআইডিকে নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া ওয়ারেন্ট কোথা থেকে ইস্যু হয় এবং এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জারি করা ওয়ারেন্ট ভুয়া কি না, তা যাচাই করে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আওলাদ হোসেনের স্ত্রীর দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এ আদেশের পাশাপাশি ভুয়া মামলায় আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা নিয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার না দেখাতেও বলেছে আদালত। আগামী ১৫ জানুয়ারি মো. আওলাদ হোসেনকে হাই কোর্টে হাজির করতে আদেশ দিয়েছে।

একাধিক ভুয়া ওয়ারেন্টের জেরে গ্রেফতার হওয়া আওলাদ হোসেনকে হাজির করতে নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট করেন তার স্ত্রী। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, তাকে সহযোগিতা করেন এমাদুল হক বশির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

রিটকারীর আইনজীবী এমাদুল হক বশির জানান, প্রথমে এক মামলায় গত ৩০ অক্টোবর আওলাদ হোসেনকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিন আওলাদকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন করা হয়। আদালত তার নথিপত্র কক্সবাজারের আদালতে পাঠানোর আদেশ দেয়। এ নথিপত্র কক্সবাজারের আদালতে পৌঁছার পর আওলাদের জামিন আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর কক্সবাজার আদালত বলে, ওই মামলায় আওলাদ নামে কোনো আসামি নেই। গ্রেফতারি পরোয়ানাটি এই আদালত থেকে ইস্যু হয়নি। ওই পরোয়ানা সৃজন করা হয়েছে। তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।

আইনজীবী জানান, এরপর মুক্তিনামাটা যখন ঢাকা জেলখানায় পৌঁছল তখন ঢাকা কারাগার বলল তার বিরুদ্ধে রাজশাহীর একটি মামলা রয়েছে এবং তাকে রাজশাহী পাঠানো হবে। রাজশাহী কোর্টে যখন তার জামিন চাইল তখন রাজশাহী কোর্ট বলল এই নামে কোনো আসামি নেই এ মামলায়। তখন তাকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলার পর কারাগার থেকে জানানো হয় তার বিরুদ্ধে বাগেরহাটে আরও একটি মামলা আছে। সেখানে তাকে পাঠানো হবে এবং সেখানে তাকে পাঠানো হলো।

এরপর গত ১ ডিসেম্বর বাগেরহাট আদালতে জামিন চাইলে আদালত বলে, আওলাদ হোসেন নামে এ মামলায় কোনো আসামি নেই এবং তার নামে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা এখান থেকে জারি করা হয়নি। ওইদিন বাগেরহাটের আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। এ আদেশের পর তার বিরুদ্ধে আবার শেরপুরে একটা মামলায় ওয়ারেন্টের বিষয়ে জানানো হয়। এমন করে একাধিক জেলা ঘুরে এখন তিনি শেরপুর কারাগারে আছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন তার স্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর