বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফটিক হত্যার সব আসামি খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর চানপুর গ্রামের ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিক হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল এ সংক্রান্ত ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামিদের আপিল গ্রহণ করে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। পরে ডিএজি ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, ডাকাতদের ধরিয়ে দেওয়ার কারণে আসামিরা সম্মিলিতভাবে ঈদের আগের দিন ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিককে হত্যা করে। এ হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত শরীফকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। বাকি পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল। এ মামলায় হাই কোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। এ ছাড়া আসামিরা আপিল করেন। পরে শুনানি শেষে হাই কোর্ট আজ রায় দেয়। রায়ে আদালত ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে আসামিদের আপিল অ্যালাউ করেছে। ফলে শরীফের আর মৃত্যুদন্ড হবে না। সে বেকসুর খালাস। যারা যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে ছিলেন তারাও খালাস। সব আসামি বেকসুর খালাস। হাই কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার চানপুর গ্রামে ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিক ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে অপহৃত হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ৮ অক্টোবর চানপুর এলাকার ফাইন ফুড ফিশারি থেকে তার মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় ফটিকের ভাই মইন উদ্দিন কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলার আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদকালে আলমগীর হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তদন্ত শেষে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর ২০১৪ সালের ২৯ জুন বিচারিক আদালত এ মামলায় রায় দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর