বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তন উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। গতকাল শেরেবাংলা নগরের নিজ দফতরে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসক্যাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জলোচ্ছ্বাস  বেড়েছে। সাগরের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে খরস্রোত। জলবায়ুর চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মতো দেশগুলো। আইসল্যান্ডের বরফ উষ্ণতার কারণে গলে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে উ™ভূত বহুবিধ প্রভাবকে টেকসইভাবে সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বৈঠকে এশিয়া-প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে, মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, যোগাযোগ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অর্থমন্ত্রী মতপ্রকাশ করেন যে, এশিয়া-প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে ট্রান্স এশিয়ান রেললাইন বরাবর ফাইবার অপটিক কেবল দিয়ে সংযুক্ত করে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। এসডিজির উদ্দেশ্য পূরণে সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, উদ্ভাবন, স্মার্ট সিটির মতো লক্ষ্য অর্জনে ইনক্লুসিভ ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তাই এসক্যাপের সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে এশিয়ান-প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে যুক্ত করা ফলপ্রসূ হবে। এসক্যাপের নির্বাহী সেক্রেটারি এসব বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশ করায় বাংলাদেশকে তিনি অভিনন্দন জানান।

অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যদি কোনো দেশ অংশগ্রহণ করতে চায়, তাহলে তাদের আমরা স্বাগত জানাব। বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক খাতে উন্নতি সাধন করে চলেছে। গত অর্থবছরে আমরা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। চলতি অর্থবছরেই আমরা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি, যা ২০২৪ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ১০ শতাংশ এবং  তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ খবর