রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
আলোচনা সভায় বক্তারা

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা নির্বাহী বিভাগের সাংবিধানিক দায়িত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় নির্বাহী বিভাগেরও সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের এক যুগ’  শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় তারা এমন মন্তব্য করেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিস্ট মিজানুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক জেলা জজ মাসদার হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা। বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বলেন, ‘ন্যায়বিচার মানে মনিবের আনুগত্য নয়, বরং আইনের আনুগত্য। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বার ও বেঞ্চের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা করা প্রয়োজন। আমাদের চরিত্রে এবং অনুভূতিতে স্বাধীনতার বোধ থাকা প্রয়োজন। তাহলেই সত্যিকারের স্বাধীনতা আসবে। সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনে বেসিক স্ট্রাকচারের চেয়ে জনগণের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের দিনে বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এ আয়োজনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে তুলতে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নে উদ্যোগী হওয়া।

অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, বিচারক নিয়োগের স্বচ্ছতায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বিচারের রায় পক্ষে এলে বিচার বিভাগ স্বাধীন, আর বিপক্ষে গেলেই পরাধীন এটা সঠিক নয়। বিচার বিভাগের সম্মান রক্ষায় সবার সচেতনতা প্রয়োজন। বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও সংসদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।

মূল প্রবন্ধে মিজানুর রহমান খান বলেন, বিচার বিভাগ ‘পৃথকীকরণে আমাদের পলায়নপরতার অবসান ঘটুক। মাসদার হোসেন মামলার অর্জনকে পাথেয় করেই আমাদের পথ চলতে হবে।’

মাসদার হোসেন বলেন, ‘নানামুখী প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা যে প্রত্যাশায় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে স্বাক্ষর করেছিলাম, তা হয়তো অনেকটাই কার্যকর হয়েছে। কিন্তু বিচার বিভাগ আর্থিকভাবে স্বাধীন না হলে এই পৃথকীকরণ অনেকটাই মূল্যহীন।’

সর্বশেষ খবর