প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোতে রাজাকার ঢুকে পড়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। সম্প্রতি ঘোষণার পর স্থগিত করে দেওয়া রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের নাম থাকায় তিনি এই প্রশ্ন তুলেছেন।

গতকাল বিকালে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি বাজারে পার্টির এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একটা অবাক কা- দেখলাম। রাজশাহীতে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন, তাদের নাম রাজাকারের তালিকায়। এ নিয়ে আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, প্রশাসনের ভিতর কি রাজাকার ঢুকে পড়েছে? প্রশ্নটা আমারও। তিনি বলেন, রাজাকারের প্রেতাত্মারা যে এখনো সক্রিয় তা এই তালিকার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়ে  গেছে। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে চলেছে। এখনো যদি আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের হাত দুর্বল করতে না পারি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন না হলে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যাবে না। দেশে এখন ‘নব্য রাজাকার’ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বাদশা বলেন, স্বাধীনতার আগে ২২টা পরিবার এদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করত আর পশ্চিম পাকিস্তানে টাকা পাঠিয়ে দিত। আমরা তাদের রাজাকার বলতাম।

কৃষকদের নায্যমূল্য নিশ্চিত, রাজশাহী পাটকলের শ্রমিকদের  বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং সামাজিক নায্যতা, সমতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ২১ দফার ভিত্তিতে সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভা কমিটি এই জনসভার আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, সম্পাদকম-লীর সদস্য এন্তাজুল হক বাবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল হক তোতা, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলার সভাপতি ফেরদৌস জামিল টুটুল এবং জাতীয় কৃষক সমিতির জেলা সভাপতি কয়েস উদ্দিন।