শিরোনাম
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। তারা বলেছেন-  বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি, লুটপাট আর অপচয় রোধ করা গেলে বিদ্যুতের দাম বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কমে আসবে। গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। ‘বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব ও বাস্তব অবস্থা’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ এবং বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বক্তব্য দেনÑ কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক আবদুল হক, সাধারণ নাগরিক সমাজের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

 কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রকল্প পরিচালক ইকরামুল হক, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইসরাত হাসান, সদস্য জোয়ার্দ্দার, সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার প্রমুখ। সভায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হোসেন আবেদের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, অপচয় রোধ করলেই বিদ্যুতের দাম কমানো যাবে। বিদ্যুতের দাম বাড়াতে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে গণশুনানিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিইআরসি দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া থেকে সরে না এলে, এই প্রতিষ্ঠান অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, মূল্য বৃদ্ধির নামে সরকার লুটপাটের ব্যবস্থা করতে চায়। এই লুটপাট চলছে সর্বত্র। বিদ্যুতের দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়বে সর্বত্র। দরিদ্র মানুষ এমনিতেই মূল্য বৃদ্ধির চাপে অতিষ্ঠ।

আবদুল হক বলেন, শিল্পে সংকট চলছে। সৎভাবে থাকা শিল্প মালিকরা খরচ পোষাতে পারছে না। এরপর বিদ্যুতের দাম বাড়লে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা চাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো থেকে সরকার সরে আসুক। জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে মানুষ বিপাকে পড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর