শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে খরচ ২২ টাকা আর বিক্রি হয় ১৩ টাকা : পবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেছেন, ফসলি জমি কমে যাওয়ার পরেও কৃষিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এ সাফল্যের পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি সেই কৃষকরাই সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিকেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয় ২০ থেকে ২২ টাকা। আর কৃষক তা বিক্রি করতে পারছেন ১২ থেকে ১৩ টাকা কেজি। এ প্রক্রিয়া চলতে থাকলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে। এ অবস্থা থেকে কৃষক ও কৃষিকে বাঁচাতে ধানের উৎপাদন খরচের ২৫% লাভে ধানের বাজার মূল্য নিশ্চিত করাসহ সরকারের ধান মজুদ ক্ষমতা ১ কোটি টনে উন্নীত করার দাবি জানানো হয়।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ধানের ন্যায্যমূল্য : সংকট ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন পবার সভাপতি আবু নাসের খান। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজের বারসিকের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, কৃষক সমিতির উপদেষ্টা জামাল হায়দার মুকুল, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান, কৃষিবিদ এবিএম তৌহিদুল আলম, কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম বদরুল আলম, প্রকৌশলী আনোয়ার। সঞ্চালনা করেন ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল। মূল প্রবন্ধে সৈয়দ আলী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের কৃষিতে শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশ জড়িত। ধান উৎপাদনের প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে। তারপরও বাজারমূল্য কম থাকায় কৃষকরা দিশাহারা। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৃষকদের রক্ষা করতে উৎপাদিত ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত করাসহ দশ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি ইউনিয়নে এমনকি ক্ষেত্রভেদে কৃষক ও স্থানীয় পর্যায়ে ধানসহ কৃষিপণ্য মজুদকরণের শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সরকারের ধান মজুদক্ষমতা ১ কোটি টনে উন্নীতকরণ। মোট উৎপাদন খরচের ২৫% লাভে ধানের বাজার মূল্য নিশ্চিত করা।

সর্বশেষ খবর