শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজাকারের তালিকা প্রণয়নে নাগরিক কমিশন গঠনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলতি মাসে প্রকাশিত তালিকাটি কোনোভাবেই রাজাকারের তালিকা নয় জানিয়ে আত্মদায়বদ্ধ সামাজিক সংগঠন প্রজন্মের চেতনা বলছে, মূলত ওই তালিকাটি ছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্তদের অংশবিশেষ মাত্র। অথচ, মন্ত্রণালয় রাজাকারদের তালিকা বলে প্রকাশ করেছে। এর দায়-দায়িত্ব কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।

গতকাল জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনটি মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তালিকায় যাদের নাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নাগরিক কমিশন গঠন করে তাদের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিচয়সহ জনযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান কী ছিল তা প্রকাশের দাবি জানায়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তালিকায় যাদের নাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাদের ব্যাপারে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে জনসম্মুখে প্রকাশ করা এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। তাহলেই বেরিয়ে আসবে যুদ্ধকালে কার কী ভূমিকা ছিল।

এ ছাড়া চিহ্নিত করতে হবে যারা দালালদের তালিকা প্রকাশে বাধা দেয় বা তালিকা প্রকাশ বন্ধ করতে বলে, তারা কারা। তাদের প্রকৃত স্বরূপ চিহ্নিত করা না গেলে কোনো দিনই জানা যাবে না স্বাধীনতার বিরোধিতা করার পরেও এ দেশে কারা কীভাবে পেয়েছে  মুক্তিযোদ্ধা আর শহীদের মর্যাদা। সংগঠনটি ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত ও পরাজিত বাঙালি সদস্যদের মধ্যে যারা স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালন করেছে তাদেরও তৎকালীন রাজনৈতিক পরিচয়সহ সব তথ্য-উপাত্ত জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানায়।

কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির  কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ গোলাম নবী হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এম রাশেদ রাব্বি, শাজাহান কবির সুমন, সদস্য মো. মাসুদ আলম, মো. ছালেক-উর-রহমান, মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সংস্কৃতিকর্মী আনোয়ার ফরিদী, গণমাধ্যমকর্মী আমীর মোহাম্মদ জুয়েল, নাট্যকার ও নাট্য সংগঠক দীন ইসলাম শ্যামল, মো. শওকত হোসেন বাবুল প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর