ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে ক্যান্টিনের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে হৃদয় নামে মধুর ক্যান্টিনের এক কর্মচারী আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত পাঁচদিনে চতুর্থবারের মতো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
এদিকে ককটেল হামলার ব্যাপারে ছাত্রদলকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। তারা বলছেন, ছাত্রদলের অন্তর্কোন্দল জেরে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে।
এর আগে রবিবার বিকালে ডাকসু ভবনের পাশে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। একই দিন সকাল ৯ টার সময়ও মধুর ক্যান্টিনের সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার মধুর ক্যান্টিন ও আইবিএ ভবনের গেটের মাঝামাঝি স্থানে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়।ককটেল বিস্ফারণের ঘটনায় ছাত্রদলকে দায়ী করে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ‘ছাত্রদলের দুটি গ্রুপের মধ্য থেকে হয়তো এরকম কার্যকলাপ হতে পারে বলে আমরা মনে করছি।’ গতকাল দুপুর ১২ টায় মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সদ্য মনোনীত আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও এ ধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। আমরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য ক্যাম্পাসে আসি। আবার চলে যাই। এ ধরনের কর্মকান্ডের সঙ্গে ছাত্রদলের ন্যূনতম কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দোষীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
পরপর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে তদন্ত ছাড়া বিস্তারিত কিছু বলতে পারছেন না বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।