শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

তিন পরীক্ষার্থীকে ভর্তিতে বিশেষ সুযোগ দিল রাবি একজন অকৃতকার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে তিন পরীক্ষার্থীকে ভর্তিতে বিশেষ সুযোগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তারা হলো- নার্গিস খাতুন, রিন্টু তনচঙ্গা ও আশিকুর রহমান । অকৃতকার্য হয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া  শিক্ষার্থীর নাম নার্গিস খাতুন। তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার রোল নম্বর ১৩৬৭২। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় তিনি এমসিকিউতে পেয়েছেন ২১ নম্বর। কিন্তু এই নম্বর দিয়ে মোট আসনের বিপরীতে ১০ গুণ শিক্ষার্থীর তালিকায় না থাকায় তার লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিশেষ অনুমতির তালিকায় তাকে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক একে শামসুদ্দোহা বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীর একাডেমিক বিষয়টি খেয়াল করিনি। তিনি অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ক্রীড়াঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম নিয়ে আসবেন। তাই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

রিন্টু তনচঙ্গা ভর্তি পরীক্ষায় ৪৯ নম্বর পেয়ে মেধাক্রম অনুসারে ২৪১৯তম হয়েছিলেন। তিনিও সাবজেক্ট চয়েসের জন্য যোগ্য ছিলেন না।

রিন্টুর বিষয়ে শামসুদ্দোহা বলেন, সে উপজাতি। পরীক্ষায় ভালো করেছে, মেধাক্রমও ভালো। কিন্তু আবেদনের সময় ভুলবশত উপজাতি কোটার ঘরটি পূরণ করতে পারেনি। তাই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

আশিকুর রহমান আশিককে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ভর্তি পরীক্ষায় ৪১.৫ নম্বর পেয়ে কৃতকার্য হয়েছেন। তার মেধাক্রম ছিল ৩৮৮৩। তিনি বিভাগ পছন্দ ফরম পূরণের জন্য যোগ্য ছিলেন না।

তবে আশিকুর রহমানের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। কয়েকবার প্রশ্ন করার পর তিনি বলেন, কি কারণে সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেটি আমার মনে নাই।

ক্রীড়াঙ্গনের সুনামের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে। সেখানে খেলোয়াড়দের জন্য ১০ শতাংশ আসন বরাদ্দ রয়েছে, তবে ব্যবসায় অনুষদে ভর্তি কেন এমন প্রশ্নে অধ্যাপক শামসুদ্দোহা বলেন, শিক্ষার্থীর পছন্দেরও বিষয় রয়েছে। এছাড়া ক্রীড়া বিজ্ঞান ‘সি’ ইউনিটভুক্ত। ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে ‘বি’ ইউনিটে।

সর্বশেষ খবর