শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

আমি ব্যথিত ক্ষুব্ধ ও দুঃখিত

-দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের কার্যক্রমে চরম অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। অনুসন্ধানে বিলম্ব ও ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন উপস্থাপন করায় দুদকের মর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে বলে পরিচালকসহ দুদক কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, আপনাদের কর্মকান্ডে আমি ব্যথিত, ক্ষুব্ধ ও দুঃখিত। গতকাল দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের সভাপতিত্বে কমিশনের সমন্বয় সভায় আকস্মিক উপস্থিত হয়ে দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি ব্যথিত, ক্ষুব্ধ ও দুঃখিত। আপনারা কি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন? আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার কারণেই নির্ধারিত সময়ে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। কীভাবে ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপিত হয়? এতে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের মর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে। মনে রাখবেন, দুদক একটি গণপ্রতিষ্ঠান।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের কাছে দুদকেরও জবাবদিহি রয়েছে। তাই আপনাদেরও জবাবদিহি করতে হবে। অনুসন্ধান ও তদন্তে টাইমলাইন না মানার জন্য রেকর্ডপত্র সময়মতো না পাওয়ার বিষয়টি আপনারা বলে থাকেন। কে রেকর্ডপত্র দেয় না? যে বা যারা অনুসন্ধান বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রেকর্ডপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কেন দুদক আইন, ২০০৪-এর ১৯(৩) ধারায় মামলা হচ্ছে না?’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে যারা দুদকের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্য সরবরাহ করছেন না, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা করতে হবে। আপনারা আইনি দায়িত্ব পালন করবেন। একটিও বেআইনি কাজ করতে পারবেন না। আইনি দায়িত্ব পালন না করে বসে থাকবেন, তা কমিশন মেনে নেবে না। এভাবে বেআইনি যুক্তির মাধ্যমে অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তে টাইমলাইন না মানার সংস্কৃতি সহ্য করা হবে না।’

ফাইনাল রিপোর্টের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুদক মামলা করার পর সেই মামলায় তো ফাইনাল রিপোর্ট মিথ্যা হতে পারে না? এ-জাতীয় ঘটনা কীভাবে কমিশনে উপস্থাপিত হয়? তাহলে আপনারা কি দুদক আইনের ২৮ ধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণাও রাখেন না? কেউ যদি মিথ্যা জেনে বা তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত না হয়ে তথ্য দিয়ে কমিশনে মামলার সুপারিশ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৮(গ) ধারায় মামলা হচ্ছে না কেন? আজ থেকে এ-জাতীয় মিথ্যা মামলা দায়েরকারী তিনি যেই হোন না কেন, তার বিরুদ্ধেও আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

সর্বশেষ খবর