ধ্রুপদী সুরে আলোকিত মঞ্চ। সুরের মূর্ছনার সঙ্গে ক্যানভাসে রংতুলির ছোঁয়া। এমন দৃশ্যপট ছিল শিল্পকলা একাডেমিতে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের শাস্ত্রীয় সংগীতের পরিবেশনায়। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে তাল, লয় আর নানা রাগের পরিবেশনায় শাস্ত্রীয় সংগীতের মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেন শিল্পীরা। এ সময় মিলনায়তনজুড়ে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। শিল্পানুরাগীরা বিমোহিত হয়ে উপভোগ করেন এই সুরের আসর।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনের এই আসরে সংগীত পরিবেশন করে পশ্চিমবঙ্গের গবেষণামূলক সংগীত সংগঠন ‘নাদ’। অনুষ্ঠানে যন্ত্রসংগীতে সঙ্গত করেন এদেশীয় শিল্পীরা।
জমজমাট ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব : সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ২১ দিনের ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’।উৎসবের একাদশ দিনে গতকাল বিকালে যথারীতি জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে একাডেমির নন্দনমঞ্চে শুরু হয় আয়োজন। এরপর অ্যাক্রোবেটিক শো পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পর্বে দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করে সাফিন ও শৈলি। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে আরও সংগীত পরিবেশন করেন পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের তিন শতাধিক শিল্পী। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে কথা আবৃত্তি সংগঠন। জেলা পরিবেশনা পর্বে নিজ নিজ জেলার ঐতিহ্যসমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পিরোজপুর ও কক্সবাজারের শিল্পীরা। সব শেষে রাত ৮টায় একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পুতুলনাট্য পরিবেশন করে দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাট্য দল। ২৩ জানুয়ারি শেষ হবে ২১ দিনের এই উৎসব।