বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাগ্নিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মামা খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ভাগ্নিকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মামা নাজমুল হককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বখাটে সুমনসহ তার লোকজন। আহত করা হয়েছে স্কুলছাত্রীর বাবা ও ভাইকে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বাঘা-লালপুর সীমান্ত এলাকার সুলতানপুর-মনিহারপুর  গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের আরজেত আলীর ছেলে সুমন (১৯) একই গ্রামের শাজাহান আলীর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বৈশাখীকে গত ৬ মাস ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার থেকে বারবার বলার পরও সুমন ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা বন্ধ করেনি। সোমবার বিকালে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময় সুমন তার হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে। এ ঘটনার জেরে গতকাল দুপুরে সুমনকে শাসন করেন স্কুলছাত্রীর বাবা শাজাহান আলী ও স্কুলছাত্রীর ভাই তুষার (২২)। স্কুলছাত্রীর ভাই তুষার বলেন, ‘দুপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় মনিহারপুর বাজার থেকে আমার বাবা বাড়ি ফেরার সময় ভোলার মোড়ে তাকে মারপিট করে সুমনসহ তার লোকজন। এ খবর পেয়ে আমি ও আমার মামা নাজমুল হক (২৮) একটি মোটরসাইকেলে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে পৌঁছা মাত্র সুমনের নেতৃত্বে-মিন্টু, পানা, রানা, সুলতান, সম্রাট, আরিফ, কামরুল, মিঠু ও নাজমুল এসে আমাদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং মামার দুই হাতের কবজিতে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।’

স্থানীয়রা স্কুলছাত্রীর বাবা শাজাহান আলী ও মামা নাজমুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাজমুলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুনাহার কান্তা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে নাজমুল হককে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, নাজমুল হকের বাড়ি বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। তার পিতার নাম আজিজুর রহমান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর