সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত দশ বছরে এ অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্যে সরকার প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি দ্বিপক্ষীয় ইনস্ট্রুমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতকে সড়ক ও রেলপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধা প্রদানে বাংলাদেশ সম্মত হয়। এই সুবিধা প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল ও ভুটানকে প্রদানেও বাংলাদেশ সম্মত হয়। ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সুদৃঢ় রয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ নিয়েছেন।

বিশ্বের ৩১টি মিশনে ভবন নির্মাণ হবে : সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশের চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সেসব দেশে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ/ক্রয়ের নিমিত্তে স্ট্যান্ডার্ড ডিজাইনভিত্তিক একটি বৃহৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য দূতাবাসসমূহের কূটনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তালিকা প্রণয়ন করেছে। ২০১৬ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে ৩১টি মিশনে নিজস্ব চ্যান্সারি ও রাষ্ট্রদূত ভবন নির্মাণ/ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে রিয়াদ ও টোকিওতে নিজস্ব চ্যান্সারি ও রাষ্ট্রদূত ভবন নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর