বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

গৎবাঁধা অভিযোগ ছেড়ে বাস্তবতা মেনে নিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপিকে গৎবাঁধা অভিযোগ ছেড়ে বাস্তবতা মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংকের পঞ্চম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাতিল করার বিএনপির দাবির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আমি বলব এই গৎবাঁধা কথাগুলো বাদ দিয়ে বাস্তবকে মেনে নেওয়ার জন্য।’

একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া দেওয়া শুরু করেছেন, যা যথার্থ নয়।’

‘ইভিএমে যেভাবে ভোট হয়েছে, এর চেয়ে স্বচ্ছ ভালো ভোট বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কখনো হয়নি’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘ইভিএম প্রতিটি দলের জন্য পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এখানে কারও ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মিললে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া দেওয়া শুরু করেছেন। শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নন, আমাদের দেশে বিভিন্ন বিষয়ে কোনো কোনো মৌলানা যেভাবে ফতোয়া দেন, ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া দেওয়া শুরু করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২৯ শতাংশ আর উত্তরে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেই ভোটের মধ্যে আমাদের প্রার্থীরা দ্বিগুণ ভোটে জয়লাভ করেছেন। এখন এই লজ্জা ঢাকার জন্য তাদের নানা কথা বলতে হয়। মির্জা ফখরুল সাহেবরা সেই কথাগুলোই বলছেন।’ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দেওয়ার যোগ্য মানুষের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়, আর তার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে। অর্থাৎ মোট ভোট দেওয়ার যোগ্য মানুষের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে।’

এর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি চিকিৎসাদাতা বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংকের পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে সংস্থার চেয়ারম্যান মৃদুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে মন্ত্রী বলেন, ‘স্কুলে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের শেখানো প্রয়োজন, সেটা সারা জীবন মনে থাকবে। বিআরটিএকে বলব সারা দেশে আরও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার জন্য। বিআরটিএ-সার্টিফায়েড বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যদি ড্রাইভিং শিক্ষা দেয়, তাহলে আমাদের দেশে প্রশিক্ষিত ড্রাইভারের সংখ্যা আরও বাড়বে। অন্তত যে পরিমাণ গাড়ি আছে সে পরিমাণ ড্রাইভার আমরা পাব। যে পরিমাণ গাড়ি আছে তার চেয়ে বেশি ড্রাইভার দরকার। কারণ একজন ড্রাইভার প্রতিদিন গাড়ি চালাতে পারেন না।’

সর্বশেষ খবর