বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

স্থায়ী না হওয়া দুই বিচারপতির আপিল শুনানি ৩ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাই কোর্টে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ বঞ্চিত দুই বিচারপতির আপিল শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন ধার্য করেছে আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ দিন ধার্য করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী না হওয়া দুই জন হলেন- এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমদ শিবলী। আদালতে ফরিদ আহমদ শিবলীর পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ এবং এ বি এম আলতাফ হোসেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগে আপিলের সারসংক্ষেপ দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ। গতকাল এ সারসংক্ষেপ দিতে সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আদালত ৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করে।

২০১২ সালের ১৪ জুন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেনসহ মোট ছয়জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাই কোর্টে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আলতাফ হোসেনকে বাদ দিয়ে অন্য পাঁচজনকে ২০১৪ সালের ৯ জুন স্থায়ী করা হয়। এরপর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেতে হাই কোর্টের নির্দেশনা চেয়ে একই বছরের ১২ আগস্ট রিট আবেদন করেন এ বি এম আলতাফ হোসেন। এদিকে বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দানের নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ২৩ জুলাই পৃথক একটি রিট দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান। একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট দুটি রিটই খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন এ বি এম আলতাফ হোসেন।

অন্যদিকে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জন ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরের দিন তারা শপথ নেন। ওইদিন থেকেই তাদের নিয়োগ কার্যকর হয়। এর মধ্যে একজন বিচারপতি মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাই কোর্টে নিয়োগ পাওয়া ১০ অতিরিক্ত বিচারপতির মধ্যে ওই আটজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী বাদ পড়েন স্থায়ী নিয়োগ থেকে। পরে স্থায়ী নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রিট করেন ফরিদ আহমদ শিবলী। ওইদিনই তার আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেয় বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ। হাই কোর্ট রিটের বাদী ফরিদ আহমদ শিবলীকে আপিল বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সে অনুসারে একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আপিলে আবেদন করেন তিনি।

 

সর্বশেষ খবর