রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকায় এবিটির নারীসহ পাঁচ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিষিদ্ধঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্যরা জেলখানা থেকেই জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। জেলখানায় থাকাকালে মিলছে দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের সংস্পর্শ। সেখানেই জঙ্গি কার্যক্রমের দিক-নির্দেশনা পাচ্ছে এবিটি সদস্যরা। পরে জামিনে বেরিয়ে ফেসবুক ছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা এবং সদস্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এবিটির শীর্ষ পর্যায়ের স্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিচিতি বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে অনলাইনে। গত শুক্রবার থেকে গতকাল পর্যন্ত ঢাকার আশুলিয়া ও ধামরাই থেকে এবিটির নারীসহ পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ঘেটে এসব তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃত এবিটির ওই পাঁচ সদস্য হলেন- অলিউল ইসলাম ওরফে সম্রাট ওরফে আবদুল্লাহ, মোয়াজ্জিম মিয়া ওরফে শিহাদ ওরফে আল্লাহর গোলাম, সবুজ হোসেন ওরফে আবদুল্লাহ এবাজ উদ্দিন, আরিফুল হক ওরফে আরিফ ওরফে হৃদয় ও রাশিদা ওরফে হুমায়রা।

গতকাল বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রেফতার অলিউল এইচএসসি পাসের পর কিছু দিন স্থানীয় মসজিদে আরবি শিখেছেন। এবিটি সম্পৃক্ততার কারণে ২০১৯ সালে আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। জেলখানায় থাকাকালে দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের সংস্পর্শ পান এবং সেখানেই তাদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেন। ফেসবুক ছাড়াও তিনি বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম চালু রাখেন।

তিনি একটি উগ্রবাদী চ্যানেলের অ্যাডমিন হিসেবে উগ্রবাদী কার্যক্রম ও সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। ইতিপূর্বে আটক মাওলানা জসিমুদ্দীন রাহমানির অনুসারী শীর্ষ জঙ্গিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তাদের কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবিটিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বর্তমানে দক্ষিণ অঞ্চলের এবিটির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে এবিটির শীর্ষ নেতার সঙ্গে অনলাইন গ্রুপের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে বিভিন্ন উগ্রবাদী ডিজিটাল কন্টেন্ট পাওয়া গেছে।

গ্রেফতার মোয়াজ্জিম মিয়া ওরফে শিহাদ ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমে আকৃষ্ট হতেন। ধীরে ধীরে তিনি সশস্ত্র জঙ্গিবাদে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ফেসবুকে আনাস আদনান নূর নামক জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবিটির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি এবিটির একজন সক্রিয় সদস্য। মেসেঞ্জারে একটি উগ্রবাদী গ্রুপের তিনি অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করেন।

আল্লাহর গোলাম আইডিতে সদস্য সংগ্রহ এবং উগ্রবাদের উদ্দেশ্যে চাঁদা সংগ্রহে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। অনলাইন মোবাইল মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে তিনি চাঁদা সংগ্রহ করতেন। তার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রেজিস্টার জব্দ করা হয়। বর্তমানে সাভারের একটি মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সর্বশেষ খবর