শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

আজ রংপুরে শহীদ শংকুর ৪৯তম প্রয়াণ দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

আজ ৩ মার্চ। স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশের প্রথম শহীদ শংকু সমাজদারের ৪৯তম প্রয়াণ দিবস। একাত্তরের এই দিনে অবাঙালির গুলিতে মারা যায় ১২ বছর বয়সী শংকু। রংপুরে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো আজ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। রংপুর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম বলেন, ইয়াহিয়া খান একাত্তরের ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন (যা শুরু হওয়ার কথা ৩ মার্চ) স্থগিত করার প্রতিবাদে ৩ মার্চ সারা দেশে হরতাল ডাকেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই হরতালের মিছিলে গিয়ে অবাঙালিদের (বিহারি) ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শংকু। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয়ভাবে বলা হয় ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে শহীদ শংকুর আত্মদান আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে আরও বেগবান ও ত্বরান্বিত করেছিল।’ স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ সূচনা হয় রংপুর, ঢাকা ও সিলেট থেকেই। স্বাধীন বাংলার প্রথম মিছিল হয়েছিল এ রংপুরেই। আর রংপুরে স্বাধীনতার প্রথম শহীদের দাবিদারও। ওই সময় মিছিল বেরুলে পুলিশ এবং অবাঙালিদের গুলিতে শহীদ হন অনেকেই। এদের মধ্যে সকালে রংপুরে প্রথম শহীদ হয় স্কুলছাত্র শংকু সমজদার। শংকুর মৃত্যুতেই সেদিন জেগে ওঠে রংপুর। উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলে ওঠে শহরময়।  ৩ মার্চের হরতালকে সফল করতে আগের দিন ২ মার্চ রাতে ছাত্রলীগের রংপুর জেলার তৎকালীন সভাপতি রফিকুল ইসলাম গোলাপ (প্রয়াত) সেন্ট্রাল রোডের পাঙ্গা হাউসের ছাদে এক সভা ডাকেন।

 সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরদিন সকালে শহরের জিরো পয়েন্ট কাছারি বাজারে জড়ো হন সবাই। তখনও অল্পসংখ্যক মানুষ। সেখান থেকে বর্তমান শাপলা চত্বর অভিমুখে একটি মিছিল বের হলে তাতে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেয়। মিছিলটি তৎকালীন তেঁতুলতলায় (বর্তমান শাপলা চত্বর) পৌঁছলে সেখানে শহীদ মুখতার ইলাহী, শহীদ রনী রহমান ও জিয়াউল হক সেবুর নেতৃত্বে কারমাইকেল কলেজ থেকে আরেকটি মিছিল যোগ দেয়। মিছিল যখন রংপুর রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিল ঘোড়াপীর মাজারের সামনে অবাঙালি সরফরাজ খানের বাসায় ছিল উর্দুতে লেখা একটি সাইনবোর্ড। ওই বোর্ড নামাতে যায় মিছিলকারী শংকু ও কয়েকজন। সরফরাজ খানের বাড়ি থেকে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। শংকুর মাথায় গুলি লাগে। 

সর্বশেষ খবর