বুধবার, ৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

মূল্যস্ফীতি কমেছে

-পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরে ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হারে স্বস্তি দিয়েছে। তিন খাতেই মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এর মধ্যে সাধারণ খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ; যা জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় পিকনিক ও বিয়ের মৌসুমেও মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, বরং কমেছে বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যের বরাত দিয়ে এ তথ্য উপস্থাপন করেন মন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। ফলে পিকনিক ও বিয়ের মৌসুমেও মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, বরং কমেছে। পিয়াজ আকাশ থেকে মাটিতে নামছে। পিয়াজের দাম কমায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশে পণ্য সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবই। আমরা পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করি। কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানির কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি।’

বিবিএসের দাবি, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মাছ, শাক-সবজি বিশেষ করে আলু, বেগুন, শিম, কুমড়া, গাজর, শসা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক ও মুলার দাম কমেছে। ফল জাতীয় পণ্যের মূল্যও কমেছে। এমনকি মসলা জাতীয় পণ্য পিয়াজ, রসুন ও আদার দামও মাসওয়ারি কমেছে। বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে খাদ্যবহির্ভূত খাতেও মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এটি এখন আছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশে; যা জানুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর