মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে বাসায় গিয়েই স্ত্রীকে বেদম পিটিয়েছেন স্বামী এমদাদ হোসেন। এর এক দিন পর স্ত্রী উম্মে কুলসুমের ভাইকে ফোনে জানানো হয়, তার বোন আত্মহত্যা করেছেন। তিনি দ্রুত ঢাকার বাড্ডার ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে তালা লাগানো। পুলিশের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত চাবি দিয়ে দরজা খুলেন বাড়ির মালিক। দেখেন ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো কুলসুমের নিথর দেহ। তার পা ছুঁয়ে আছে বিছানায়। অনেকটা অর্ধ ভাঁজ করা তার দেহ।
গতকাল সেগুনবাগিচায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন কুলসুমের ফুফাত ভাই তারেক ইমতিয়াজ খান। তিনি বলেন, ‘মামলা তুলে নিতে এমদাদসহ অন্য আসামিরা হুমকি দিচ্ছেন। আর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তাদের পক্ষে নিতে ঢাকা মেডিকেলের আশপাশে ঘুরাঘুরি করছেন।’ কুলসুমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী সারোয়ার আহমেদ কাউসারসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
