কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানার বিরুদ্ধে এবার হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে নিয়োগ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা গতকাল মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর ৪ হাজার ৫৫৪টি ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করেন। এসব কেন্দ্রে দুজন করে উদ্যোক্তা বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর ২ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে জনবল নিয়োগের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করলে কুড়িগ্রামের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ২৬ জন উদ্যোক্তা হাই কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন (যার নম্বর ১২৮৬৫/২০১৯)।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রিটের শুনানি শেষে রিট পিটিশনারদের অনুকূলে পদ সংরক্ষণ রাখতে ছয় মাসের স্থগিতাদেশসহ ডাইরেকশন রুল জারি করে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ। কিন্তু এ রুল উপেক্ষা করে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ওইসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করলে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা নিয়োগ বন্ধের জন্য হাই কোর্টের মাধ্যমে উকিল নোটিস পাঠান। অথচ তাও উপেক্ষা করে নিয়োগ দেন জেলা প্রশাসক। মানববন্ধনের মাধ্যমে এসব নিয়োগ স্থগিত করে উদ্যোক্তাদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা গতকাল দুপুরে একযোগে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন পালন করেন। এ সময় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী মাহাতাব আলী, জেলা ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নবিউল ইসলাম, সদস্য হাসিনা খাতুন প্রমুখ।
