শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা পরীক্ষা যক্ষ্মা শনাক্তের মেশিনেই

প্রতিদিন ডেস্ক

যক্ষ্মা শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে দেশে একদিনেই অন্তত ৫ হাজার মানুষের করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা যাবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাড়পত্রে এমন সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সূত্র বলছে, এ কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজন মেশিনের উপযোগী রি-এজেন্ট। এ পদ্ধতিতে ফলাফল  পেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট। সরকারের সর্বোচ্চ মহলের অগ্রাধিকার ছাড়া এমন সুযোগ অধরাই থাকবে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, সামাজিক সংক্রমণের চতুর্থ ধাপে রয়েছে বাংলাদেশ। এই ধাপেই প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার টেস্টের প্রয়োজন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত যক্ষ্মা শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিনে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষার ছাড়পত্র দেওয়ায় বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেও। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে এই প্রসিডিওরটা এফডি অ্যাপ্রুভ পেয়েছে। গ্লোবালি এটি রিকোগনাইজড করছে। বর্তমানে দেশের জেলা উপজেলায় মোট ২৫০টি জিন এক্সপার্ট কার্যক্ষমে মেশিনে একদিনে ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষকে কোভিড ১৯-এর পরীক্ষা করানো সম্ভব। বিএসএমএমইউ মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ বলেন, আপাতত মেশিন কেন্দ্রিক কোনো ইনভেস্টমেন্ট সরকারের করতে হবে না।

কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ, জনবল নিয়োগের ঝামেলা ছাড়াও সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকায় বর্তমানে আমেরিকায় এ পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম জানান, এ মেশিনের উপযোগী রি-এজেন্ট যত দ্রুত আনা যাবে তত দ্রুতই শুরু করা যাবে ব্যাপকহারে পরীক্ষা। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বলছে, জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে প্রতি মাসে ২ লক্ষাধিক মানুষের যক্ষ্মা শনাক্তের পরীক্ষা করা হয়। একই মেশিনে পিসিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে মাসে অন্তত দেড় লাখ মানুষের কোভিড ১৯-এর পরীক্ষা সম্ভব।

সর্বশেষ খবর