শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রকৃতিতে বেড়েছে পাখির আনাগোনা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার প্রকৃতিতে বেড়েছে পাখির আনাগোনা। কিছুদিন আগেও ঘরের কুঠরি, তাল পাতা, গাছের ডাল কোথাও পাখি দেখা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি চড়ুই, ঘুঘু, শালিক, বুলবুলি, বাবুই, মাছরাঙা, বক কুমিল্লায় প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। ভুতি জাম, আম গাছের চারা, বড় ডালওয়ালা গাছ, ছোট ফলওয়ালা গাছে পাখি বাসা বাঁধছে। ডিম পেড়েছে বংশ বিস্তার ঘটাতে। পাখির কলকাকলিতে মুখর চারদিক।

বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রকৃতিতে না থাকায় শিশুদের বইয়ের পাতার ছবি দেখিয়ে পাখি চেনাতে হতো। করোনাভাইরাসে প্রভাবে মানুষ ঘরে থাকছে। গাছ ও পাখির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে না। এতে পাখির খাবার সংগ্রহ ও বাসা বাঁধার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। পাখিরা অবাধে বিচরণ করছে। ওয়াইল্ড ওয়াচ ইনফো কুমিল্লার পরিচালক জামিল খান বলেন, ‘প্রকৃতিতে পাখি ফিরে আসা ইতিবাচক দিক। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বৃদ্ধি পাবে। বাড়ির চারপাশে দেশি গাছ লাগানো উচিত। পাখির আবাসের জন্য গুল্মজাতীয় গাছ প্রয়োজন।’ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক অমিতাভ কুমার বাড়ৈ বলেন, পাখির আবাস নষ্ট করা যাবেনা। শিকার বন্ধ করতে হবে। পাখি বাসা বানানোর উপযোগী গাছ লাগাতে হবে। যেখানে বাসা বানানো যায় ও খাবারের সংকুলান হবে সেখানে পাখি আসবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর কামরুল হাসান বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির প্রয়োজন রয়েছে। পাখি শিকার রোধ ও পাখি সংরক্ষণে সচেতন মানুষের সঙ্গে প্রশাসনকেও ভূমিকা রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর