বুধবার, ১৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

কিটের নমুনা চেয়ে গণস্বাস্থ্যকে বিএসএমএমইউর চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য নমুনা চেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ নামে এই কিটের নমুনা চেয়ে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ গতকাল চিঠি দিয়েছে বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা খুশি, বিলম্বে হলেও বিএসএমএমইউর কাছ থেকে আজকে (মঙ্গলবার) চিঠি পেয়েছি। আমরা আগামীকাল (বুধবার) সকালেই পরীক্ষার জন্য টাকা জমা দিয়ে নমুনা তাদের কাছে দেব। চিঠিতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ২০০টি নমুনা ও খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বলেছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। ৩০ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর গণস্বাস্থ্যকে তাদের উদ্ভাবিত কিটের নমুনার কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ অথবা আইসিডিডিআরবিতে জমা দেওয়ার অনুমতি দেয়। নানা জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে ১২ দিনেও কোনো জবাব না আসায় গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কিট ব্যবহারের সাময়িক অনুমোদন চেয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বাংলাদেশ আমদানি করা কিটের ওপর নির্ভর করছে। এর মধ্যেই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিজন কুমার শীল কভিড-১৯ শনাক্তে কিট উদ্ভাবনের কথা জানান গত মাসের প্রথমার্ধেই। ১৯ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে করোনাভাইরাসের কিট উৎপাদনের অনুমতি পায়। চীন থেকে কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) নিয়ে কিটের নমুনা তৈরি করেছেন তারা।

বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে এ কাজে যুক্ত আছেন ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাইদ জমিরুদ্দিন ও ড. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার। ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ নামের এই পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর