রবিবার, ১৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

কনটেইনারের ক্ষতিপূরণ ফি নিয়ে উদ্বিগ্ন ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসে লকডাউন চলাকালীন কিছু বিদেশি শিপিং কোম্পানি ও তাদের এজেন্টদের ইচ্ছে মতো অতিরিক্ত কনটেইনার ডিটেনশন বা ক্ষতিপূরণ ফি আদায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিসিসিআই। দেশের প্রাচীন এই বাণিজ্য সংগঠনটি বলেছে- কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এই অতিরিক্ত ফি আরোপ করা হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত কনটেইনার ফি আরোপের ফলে আমদানি হওয়া উৎপাদনমুখী শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বাড়ছে। এতে রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা কমছে বিশ্ববাজারে। স্থানীয় ভোক্তাদের পণ্যের মূল্যও বাড়ছে। সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। গতকাল এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ- ডিসিসিআই।

সংগঠনটির সচিব মো. জয়নাল আবদীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- লকডাউনে সেবা খাত অনেকাংশেই বন্ধ বা সীমিত থাকায় পণ্য বা কনটেইনার খালাসে অনিচ্ছাকৃত দীর্ঘসূত্রতা হয়ে যাচ্ছে। আমদানি, রপ্তানি কার্যক্রমের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিক গতি আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে ২৯ এপ্রিল নৌপরিবহন অধিদফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে- শিপিং লাইনসগুলো বা তাদের এজেন্টদের আমদানিকারকদের কাছ থেকে লকডাউন চলাকালে কোনো প্রকার ডেমারেজ চার্জ আরোপ না করতে নির্দেশনা প্রদান করেছে। তবে সেই নির্দেশনা না মেনে বাড়তি ফি আরোপ অব্যাহত রয়েছে। যা এই কঠিন সময়ে আমদানিকারকদের ওপর বাড়তি বোঝা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

ডিসিসিআই বলেছে, লকডাউনে ক্ষতিপূরণ আরোপ করা যাবে না। এক্ষেত্রে কোনো শিপিং লাইনস বা এজেন্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বিধিমালা বহির্ভূত কাজ করে তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া সর্বোচ্চ কনটেইনার ডেমারেজ চার্জ কত হতে পারে, তার একটি সুনির্দিষ্ট সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। লকডাউনে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের শিপিং লাইনসগুলো আমদানিকারকদের চার্জ মওকুফ করেছে।

ডিসিসিআই বেসরকারি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো বা অফ-ডক পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে লকডাউন চলাকালীন সময়ে খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ ও রপ্তানি পণ্য কনটেইনারে লোডিং চার্জ মওকুফ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর