মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

মেসেজ পেলেই আইনমন্ত্রীর খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

করোনাভাইরাসে কর্মহীন, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো খাদ্য সমস্যায় পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি তার নির্বাচনী এলাকা কসবায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে চলেছেন। মন্ত্রীর পক্ষে ত্রাণ বিতরণসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন মন্ত্রীর সাবেক এপিএস ও কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন। তিনি জানান, আইনমন্ত্রীর নির্দেশনায় কন্ট্রোল রুম করেছি। কন্ট্রোল রুম থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মন্ত্রী মহোদয়সহ আমাকে অনেকেই মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিচ্ছেন ত্রাণের জন্য। মন্ত্রী মহোদয় সেই ম্যাসেজ আমাকে ফরওয়ার্ড করে দেন।

 বিশেষ করে আমাদের সমাজে এমন অনেক পরিবার আছে যারা সরকারি ত্রাণ পান না, লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ আনতে পারেন না, তারা ম্যাসেজ দিলে রাত অথবা দিন যখনই হোক খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যত দিন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকবে মন্ত্রী মহোদয়ের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি প্যাকেটে ১৬ কেজি করে খাবার সামগ্রী রয়েছে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর আইনমন্ত্রীর নির্দেশে কসবা উপজেলার ৩৪টি গ্রামে গিয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও ত্রাণ কমিটি গঠন করেছি। সার্বক্ষণিক এই বিষয়ে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, গত ২৩ এপ্রিল কসবায় প্রথম আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপির ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে কর্মহীন ও অসহায় মানুষকে প্রায় ১৮ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তাদের মাধ্যমে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। গত পয়লা মে পর্যন্ত কসবার ৩৯ হাজার ৬০৫টি পরিবারের মাঝে দুই কোটি ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকার ত্রাণ আইনমন্ত্রী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। বর্তমানে এই সংখ্যা ৩ কোটি টাকার অনেক উপরে হয়েছে। এর মধ্যে হরিজন, হিজড়া, সাঁওতাল ও গুচ্ছগ্রামকে আমরা হট স্পট হিসেবে নিয়েছি। এগুলোতে ত্রাণ বেশি দেওয়ার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি খেটে খাওয়া কর্মহীন শ্রমিকদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। চেয়ারম্যান বলেন, স্থানীয় হরিজন ও হিজড়ারা ত্রাণের জন্য ছোটাছুটি করছিল। এর মধ্যে অনেকেই ভোটার হয়নি, তাই তারা কোনো জায়গা থেকে ত্রাণ পাচ্ছিল না। পরে আমি তাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আইনমন্ত্রী কসবায় ৪১ লাখ টাকার ১০ হাজার শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেছেন। এ ছাড়াও দলের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীরা ঈদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ এরই মধ্যে হাতে নিয়েছেন। অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন বলেন, মন্ত্রীর এপিএস থাকার সময় থেকে অদ্যাবধি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমি শপথ করেছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাব।

সর্বশেষ খবর