শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরি উদ্ধার ত্রাণ সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নেতৃত্বে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ-এর দিকনির্দেশনায় পূর্ব থেকেই সেনাবাহিনী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে তারা ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকাসমূহ অসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করছে। ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ১৪৬টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল স্বল্প সময়ে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ উপদ্রুত এলাকাসমূহে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে সেনাবাহিনীর ৭৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত স্থানসমূহে খাদ্য সহায়তা হিসেবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১২ হাজার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নিমিত্তে ১৬টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্লান্ট ও ১৪টি ওয়াটার বাউজার প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০২৭টি যানবাহনের সমন্বয়ে মোট ৫৩১টি টহল ৬২টি জেলায় অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় পাঠানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এসব টহল দল এবং ইউনিটসমূহ প্রয়োজনে সহায়তা প্রদানের জন্য অসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ভোলা ও হাতিয়ায় দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম নৌ জেটি ত্যাগ করেছে। অন্যদিকে খুলনা নৌ অঞ্চল হতে সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে সহায়তার জন্য ২২ সদস্যের একটি নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য সাত সদস্যের একটি ডাইভিং টিম সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে গমন করেছে।

নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ এলসিইউ-০৩ ৬০০ প্যাকেট নিয়ে ভোলা এবং এলসিইউ-০৪ ৬০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী নিয়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে গমন করে। এ ছাড়া পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের অন্যান্য জাহাজগুলো দুর্গত এলাকায় জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য যাত্রা করবে। অন্যদিকে খুলনা নৌ অঞ্চল হতে বানৌজা কপোতাক্ষ ২০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পটুয়াখালী এবং বানৌজা পদ্মা ৩৫০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, একটি এমআই-১৭এসএইচ হেলিকপ্টার, একটি অগাস্টা-১১৯ হেলিকপ্টার এবং একটি বেল-২১২ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, নোয়াখালী, ঝালকাঠি, কুয়াকাটা ও সুন্দরবন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের উদ্দেশ্যে দ্রুততার সহিত পরিদর্শন করে।

সর্বশেষ খবর