বুধবার, ৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

তিন শর্তে ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রাশেদুল চিশতীর জামিন বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক পরিচালক রাশেদুল হক চিশতীকে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন শর্তসাপেক্ষে বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। শর্তগুলো হলো- জামিনে থাকাকালে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, পদ্মা ব্যাংকে যেতে পারবেন না এবং মামলার তদন্ত কাজে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে রাশেদুল হকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশিদ আলম খান। আদেশের পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, শর্তসাপেক্ষে আদালত রাশেদুল হকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ তিনটি মামলায় হাই কোর্ট জামিন বহাল রেখেছেন।

তবে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা থাকায় তিনি আপাতত জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন না।  এর আগে গত ২০ মে হাই কোর্ট একটি মামলায় রাশেদুল হক চিশতীর জামিন স্থগিত করেন। পরে ২৮ মে ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

রাশেদুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল ফারমার্স ব্যাংকে দুর্নীতির একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ব্যাংকিং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় স্ত্রী, সন্তান ও নিজের নামে এবং নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ২৫টি হিসাব খোলেন। পরে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা ওই ২৫টি হিসাবে স্থানান্তর করেন। এসব টাকা নিজেদের হিসাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের পাশাপাশি নিজেদের নামে কেনা শেয়ারের দাম পরিশোধ করেন।

সর্বশেষ খবর