সংসদ সদস্য শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪) সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ায় ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা কমতে শুরু করেছে। পাম্পের সাহায্যে পানি বের করে দেওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবারের মধ্যে সব পানি নেমে যাবে। শামীম ওসমান গত বৃহস্পতিবার আশ্বাস দিয়েছেন যে, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে দুটি অতিরিক্ত সেচ পাম্প শুক্রবার চালু করবেন। পাম্প দুটি চালু হওয়ায় ডিএনডিতে আটকে পড়া পানি দ্রুত নিষ্কাশিত হতে শুরু করে।
শনিবার বিকালে জলাবদ্ধতা কবলিত ফতুল্লার ইসদাইর বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সেখানে হাঁটুপানি ছিল, শনিবার পুরো শুষ্ক। এ ছাড়া নিচু এলাকার কাপুড়াপুট্টি, লালপুর সস্তাপুর, গাবতলী টাগাড়পাড়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি ও জালকুড়ি এলাকায় দুই ফুট করে পানি কমতে শুরু করেছে। জালকুড়ি স্কুলের শিক্ষক আবু বাসেদ মিয়া বলেন, ‘ভেবেছিলাম এবার আর রক্ষা নেই। এ পানি নামতে এক মাস সময় লেগে যাবে। শুনলাম আরও নতুন দুটি পাম্প সেনাবাহিনী সংযোগ করেছে। তাই আমাদের এলাকায় দুই ফুট পানি কমে গেছে। এভাবে নিষ্কাশিত হলে অন্তত আরও দুই দিনে পুরো শুকিয়ে যাবে ডিএনডি এলাকা। মুঠোফোনে শনিবার যোগাযোগ করা হলে শামীম ওসমান এমপি জানান, ডিএনডির জলাবদ্ধতার ছবি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, ডিএনডির পরিপূর্ণ কাজটি করতে আরও বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন। করোনাকে মোকাবিলা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জিডিপির ৩ দশমিক ৬ ভাগ অনুদান দিয়ে দিয়েছেন। তারপরও আমি আশা করি, আগামী ২৫ তারিখের মিটিংয়ে আমাদের ডিএনডির প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ তার কাছ থেকে পাওয়া যাবে।