রবিবার, ২১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

৯৯৯-এ কল পেয়ে হাওরে নিখোঁজ তিন ছাত্রকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিশোরগঞ্জের ফিরোজা মেডিকেল ইনস্টিটিউটের তিন ছাত্রকে করোনার সময়ও নদী এবং হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  হাতছানি দিয়ে ডেকেছিল। তাদের প্রস্তুতি ছিল হাওরের সৌন্দর্য দেখতে শিংপুর এলাকায় যাওয়ার। এ জন্য তারা শুক্রবার রাতে নৌকা ভাড়া করে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে করিমগঞ্জের ধনু নদীর মাঝখানে। তাদের বহনকারী নৌকাটি নষ্ট হয়ে যায় এবং পথও হারিয়ে ফেলে। এমন সময় তাদেরই একজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান যে, তারা হাওরে ভ্রমণ করতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেছে। জরুরি সেবা কল পাওয়ার পরই সেটি জানিয়ে দেওয়া হয় নৌ পুলিশের কাছে। এরপর নৌ পুলিশ অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ সময় পরে শুক্রবার গভীর রাতে অবশেষে উদ্ধার হন পথভোলা তিন যুবক। উদ্ধারকৃতরা হলেন- মোখলেস (২১), শিপন মিয়া (২১) ও ইয়াসিন (১৯)। ওই তিন তরুণকে নিরাপদে তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে নৌ পুলিশ। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভীন বলেন, ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৮টা ২০ মিনিট। হঠাৎ চামটাঘাটের মোবাইল ফোনে জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে কল। জানানো হয়, কিছু যুবক কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার চামটাঘাটে বিপদগ্রস্ত। কল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নৌ পুলিশ চামটাঘাট সদস্যরা বেরিয়ে পড়ে যুবকদের উদ্ধার করতে। যে মোবাইল নম্বরটি দেওয়া হয়েছিল, তাতে ফোন করে শুনতে পায় কাঁদো কাঁদো কণ্ঠ। মোখলেস নামের তরুণ জানান, তারা নদীর মধ্যে আছে এবং তীর কোনো দিকে বুঝতে পারছেন না। এদিকে নৌকার ইঞ্জিনটাও নষ্ট হয়ে গেছে। ওদিকে ডাকাতির ভয়ে তাদের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। চামটাঘাট নৌ পুলিশ স্টেশনের টিম ধারণা করে নেয় যে, বরহাটি হাওরের ব্রিজের কাছে কোথাও তারা মাঝ নদীতে নৌকায় বসে আছে। ব্রিজের কাছাকাছি পৌঁছে কিছু দেখতে পায় না নৌ পুলিশ। এর কিছু সময় পর যে মোবাইল ফোন থেকে কল করা হয়েছিল, সেটি বন্ধ পায়। পরে সিগন্যাল লাইট দিয়ে ইশারা করে, বাঁশি ফুঁকে এবং হুইসেল দেয়। এরপর তারা উদ্ধার হয়।

সর্বশেষ খবর