বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

চলে গেলেন প্রথম প্লাজমা নেওয়া চিকিৎসক ডা. সমিরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সমিরুল ইসলাম আর নেই। গতকাল দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনিই চট্টগ্রামে প্রথম প্লাজমা থেরাপি নিয়েছিলেন। সমিরুল ইসলামের স্ত্রী চমেকের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনা ইসলাম এবং দুই সন্তানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তারা এখন সুস্থ আছেন। এ চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো চট্টগ্রামে।

জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২১ মে তাকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ২৬ মে তাকে রক্তের প্লাজমা দেওয়া হয়। ৩১ মে দ্বিতীয় দফা করোনা টেস্ট করানো হলে ফলাফল নেগেটিভ আসে। তখন ডা. সমিরুলের চিকিৎসাসেবা দেওয়া অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ করোনার কারণে তার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলেছিলেন। ১৩ জুন থেকে তিনি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সমিরুল চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হলে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেওয়া হয়। করোনার কারণে তার ফুসফুসে যে ক্ষতি হয়েছে তা সারানো যায়নি। গতকাল ফুসফুসের জটিলতা দেখা দেয়। অক্সিজেন স্যাচুরেশান কমে যায়। এরপর লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।’ জানা যায়, ডা. সমিরুল ইসলাম করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পরও চিকিৎসা বন্ধ করেননি। নিয়মিত হাসপাতালে গেছেন, রোগীদের সেবা দিয়েছেন এবং অস্ত্রোপচারও করেছিলেন।

সর্বশেষ খবর